বিদেশি পর্যটকদের জন্যে ইলেকট্রনিক ভিসা চালুর অনুমোদন দিয়েছে সৌদি আরব। পর্যটকরা যাতে দেশটিতে আয়োজিত খেলাধুলা, কনসার্ট কিংবা অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন, সে হিসেবে সৌদি মন্ত্রিসভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওকাজ বলছে, বিশ্বের শীর্ষ তেল রফতানিকারক দেশটি তাদের অর্থনীতিকে বহুমুখি করা ও বিধি-নিষেধে পরিবর্তন এনে সমাজকে উন্মুক্ত করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে পর্যটকদের ভ্রমণের ব্যাপারে খুবই রক্ষণশীল ছিল সৌদি আরব।
সৌদি সরকার জানিয়েছে, অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান স্থানীয় নাগরিক এবং বিদেশি পর্যটকদের জন্য পর্যটন খাতে বিশলা অর্থ ব্যয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
দেশটিতে কয়েকবছর ধরেই পর্যটকদের প্রবেশের অনুমোদনের ব্যাপারে আলোচনা চলছিল। কিন্তু শুধুমাত্র রক্ষণশীল মতামত ও আমলাতন্ত্রের কারণেই এতদিন এটি আটকে ছিল।
আরব নিউজ জানিয়েছে, দূতাবাস এবং কনস্যুলেটের অনুরোধ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ভিসা ইস্যু করা হবে। তবে কবে নাগাদ এই ভিসা সুবিধা পাওয়া যাবে, সে ব্যাপারে নির্দিষ্ট করে এখনও কিছু বলা হয়নি।
প্রিন্স সালমানের সংস্কার উদ্যোগের জের ধরে দেশটিতে গত ৪০ বছর ধরে নিষিদ্ধ থাকা সিনেমা এবং সংগীতানুষ্ঠানের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে পশ্চিমা পপ তারকাদের দেশটিতে পারফর্ম করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আয়োজনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তবে যুবরাজ সালমানের সমালোচনা কিংবা বিরোধিতা করায় দেশটিতে এখন পর্যন্ত বহু মানবাধিকার কর্মী, বুদ্ধিজীবী এবং ধর্মীয় নেতাদের আটক করা হয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করেছেন।
বিশেষ করে তুরস্কে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যা এবং ইয়েমেনের যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে সৌদি আরবকে আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তবুও ডিসেম্বরে যখন নতুন এই ভিসা ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে বাস্তবায়িত করা হয়েছিল, তখন পশ্চিমা দেশের অনেক নাগরিক সৌদি ভ্রমণের সুযোগ কাজে লাগায়। এর আগে দেশটিতে ভ্রমণ ভিসার সুবিধা ছিলো না।