রাশিয়ায় মুসলমানদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ১৫ বছরের মধ্যে রাশিয়ায় মুসলিম জনসংখ্যা হবে এক তৃতীয়াংশ।
সম্প্রতি মস্কোর একটি সম্মেলনে দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি শেখ রবিন জাইনুদ্দিন এ কথা বলেন।
গ্র্যান্ড মুফতি তার বক্তব্যে বলেন, গত ঈদের সময় তিন লাখ ২০ হাজারেরও বেশি মুসলমান মস্কোর মসজিদগুলোতে নামাজ আদায়ের জন্য এসেছিলেন। এটি ছিল একটি রেকর্ড।
গত বছরের তুলনায় দুই ঈদ, রমজানের তারাবি ও শুক্রবারের দিন জুমার নামাজ আদায়কারীর সংখ্যা বেড়েছে উল্লেখ করে জাইনুদ্দিন বলেন, এটি দেশের মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার সূচক। মুসলিম জনসংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশটিতে মসজিদের সংখ্যা বাড়ছে। যদিও রাশিয়ার বড় বড় শহরে আরও মসজিদের প্রয়োজন।
এই বক্তব্যের কিছুদিন আগে এক সাক্ষাতকারে গ্র্যান্ড মুফতি বলেছিলেন, রাশিয়ায় প্রায় ৩ কোটি মুসলমান রয়েছে।
মুফতি আরও বলেন, রাশিয়ায় মুসলমানদের সংখ্যা বাড়ার প্রধান কারণ দু’টি। একটি হচ্ছে- মুসলমান পরিবারে জন্মহার বেশি এবং অপরটি হচ্ছে এশিয়া থেকে মুসলমানরা দেশটিতে আসছে।
ইতিহাস বলছে, সপ্তম শতাব্দীতে রাশিয়ায় ইসলামের আগমন ঘটে। নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ইন্তেকালের ২২ বছর পরে তার অনুসারীরা রাশিয়া এসেছিলেন।
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর থেকে রাশিয়ায় ইসলামের জাগরণ বেড়েছে। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত রাশিয়ায় ছিল ৩০০টি মসজিদ আর এখন আট হাজারেরও বেশি মসজিদ আছে। আরও নতুন মসজিদ নির্মাণ হচ্ছে। ১৯৯১ সালের আগে রাশিয়াতে কোনো মাদরাসা ছিল না। আর এখন ৫০-৬০টি মাদরাসা আছে এবং সেগুলোতে কমপক্ষে ৫০ হাজার ছাত্রছাত্রী পড়ালেখা করছে। রাশিয়া থেকে এখন প্রায় ২০ হাজারের মতো মুসলমান হজ পালন করতে সৌদি আরব গমন করেন।
রাশিয়ার ১৮২টি আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৫৭টি আদিবাসী মুসলিম।
-মস্কো টাইমস অবলম্বনে