আসন্ন হজ মৌসুমে হজ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় চতুর্থ পর্যায়ে আরও ২৪টি বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছে।
রোববার (১০ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চতুর্থ পর্যায়ে এসব বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এর আগে প্রথম পর্যায়ে ৯ ডিসেম্বর ৫৯৪টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৫ জানুয়ারি ২৮৫টি, তৃতীয় পর্যায়ে ১৯ ফেব্রুয়ারি ১১০টি বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করেছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এ নিয়ে চার দফায় ১ হাজার ১৩টি বৈধ হজ এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হলো। এসব এজেন্সি চলতি মৌসুমে হজ কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব হজ এজেন্সি এ পর্যন্ত হালনাগাদের কাগজপত্র দাখিল করেনি, বিভিন্ন অভিযোগে শাস্তি কিংবা জরিমানাপ্রাপ্ত, হজে অনিয়ম করে সৌদি আরবে কালো তালিকাভুক্ত, মামলায় জড়িত এবং অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে- সে সব এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
তালিকায় প্রকাশিত কোনো এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ বা গুরুতর ত্রুটি পাওয়া গেলে ওই এজেন্সির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। ইতোপূর্বে তিন দফায় প্রকাশিত তালিকা থেকে কিছু হজ এজেন্সির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালে চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে ৩ বছর ধরে ১ লাখ ২৭ হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ হজপালনের সুযোগ পান।
বিদ্যমান অবস্থায় একটি হজ এজেন্সি সর্বোচ্চ ৩শ’ জন ও সর্বনিম্ন ১৫০ জনকে হজে পাঠাতে পারেন। কিন্তু এজেন্সির সংখ্যা বেশি হওয়ার কারণে সৌদি আরব নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে প্রতিটি হজ এজেন্সি সর্বনিম্ন ১০০ জন যাত্রী হজে পাঠাতে পারবেন। তবে এখনও এর ঘোষণা দেওয়া হয়নি।