কেনিয়া পূর্ব আফ্রিকার একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। মালভূমি ও উঁচু পর্বতে পূর্ণ দেশটিতে বহু জাতির লোকের বসবাস। অতীতে এটি একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ১৯৬৩ সালে কেনিয়া স্বাধীনতা লাভ করে এবং ১৯৬৪ সাল থেকে এটি একটি প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। নাইরোবি কেনিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর।
আয়তনের দিক থেকে কেনিয়া বিশ্বের ৪৭তম বৃহত্তম রাষ্ট্র। এর আয়তন ৫৮০,৩৬৭ বর্গ কিলোমিটার। ধর্ম বিশ্বাসের দিক দিয়ে কেনিয়ার অধিকাংশ নাগরিকই খ্রিস্টান। এ ছাড়া অন্য ধর্মের লোকও রয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে- প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিস্টান ৪৫%, রোমান ক্যাথলিক ৩৩%, মুসলমান ১১%, সনাতন ১০% এবং অন্যান্য ২%।
কেনিয়ায় মুসলমানদের বাস কয়েক শ’ বছর ধরে। বর্তমানে দেশটির ১১ ভাগ মানুষ মুসলমান। মোমবাসার মতো উপকূলীয় শহরে তাদের সংখ্যা বেশি। ওই নগরীর প্রায় অর্ধেকই মুসলমান। কিসুমু ও নাইরোবিতেও অনেক মুসলমানের বাস। দেশটির সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ খ্রিস্টান হলেও এর মধ্যে স্বকীয়তা বজায় রেখে বসবাস করছেন মুসলমানরা।
সেই কেনিয়া থেকে সাইকেল চালিয়ে পবিত্র হজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন চার জন মুসলিম। এজন্য তারা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণেও অংশ নিয়েছেন। তাদের বিমানে করে হজ পালনের সামর্থ্য আছে, তার পরও এই ৪ অভিজাত নাগরিক ইচ্ছা বরেছেন সাইকেল চালিয়ে হজব্রত পালনের। ওই ৪ জনের একজন নারী ও ৩ জন পুরুষ।
সাইকেল চালিয়ে হজ পালনের উদ্দেশ্য হলো- দরিদ্রদের জন্য প্রতিষ্ঠিত একটি সেবা সংগঠনের তহবিল সংগ্রহ করা।
কেনিয়া পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ১০ জুন কেনিয়া থেকে হজের উদ্দেশ্যে তারা রওয়ানা দেবেন। ৪৫ দিনের দীর্ঘ সাইকেল ভ্রমণের জন্য নিজেদের তৈরি করতে বর্তমানে পাহাড়ি এলাকায় সাইকেল চালিয়ে প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন তারা।
আফ্রিকা থেকে এটিই হবে সাইকেলে চড়া প্রথম হজ কাফেলা।
কেনিয়া কোস্ট ট্যুরিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (কেসিটিএ)-এর অফিসার মোসাম্বা জানান, কেনিয়ার এই ৪ সাইক্লিস্ট বলেছেন, তারা ৪৫ দিনে কেনিয়া থেকে পবিত্র হজ পালনে মক্কায় পৌঁছাতে পারবেন।
তারা কেনিয়া থেকে যাত্রা শুরু করে প্রথমে ইথিওপিয়া, তারপর উত্তর সুদান হয়ে ফেরিতে লাল সাগর পাড়ি দিয়ে জেদ্দা বন্দর হয়ে পবিত্র হজ পালনে মক্কায় পৌঁছাবেন।
সাইকেলযোগে হজ পালন দলের সদস্যরা হলেন- মোহাম্মদ জহির (দলনায়ক), আনোয়ার মানসুর, মোহাম্মদ সেলিম মোহাম্মদ এবং নারী প্রতিনিধি ওসমান ইদরিসা।