হজযাত্রীরা সঠিকভাবে হজের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারলে হজপালন অনেক সহজ হয়ে যায়। হজযাত্রীদের হজপালন সহজতর করার লক্ষ্যে সরকার হজ প্রশিক্ষণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেছে। সে আলোকে সারাদেশে হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পবিত্র হজ গমনেচ্ছুদের প্রশিক্ষণের জন্য জেলা পর্যায়ের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণ শুরু হতে যাচ্ছে। ২ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ঢাকার হজ অফিস আশকোনায় এ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
সোমবার (২৫ মার্চ) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, প্রতি জেলার হজ প্রশিক্ষণ টিমে ছয়জন প্রশিক্ষক থাকবেন। তাদের মধ্যে জেলা প্রশাসক বা তার প্রতিনিধি প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক একজন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক পর্যায়ের একজন, সহযোগী প্রশিক্ষণ সমন্বয়ক একজন, হজের ধর্মীয় ও হজ পালন বিষয়ে অভিজ্ঞ মুফতি বা মাওলানা একজন, হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ে একজন, স্বাস্থ্য বিষয়ক চিকিৎসক একজন ও একজন হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) প্রতিনিধি এ প্রশিক্ষণ টিমে থাকবেন।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২০১৯ সালের হজ গমনেচ্ছুদের জন্য দেশব্যাপী প্রতিটি জেলায় প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের প্রশিক্ষণ প্রদানে প্রতিটি জেলায় একটি করে হজ প্রশিক্ষণ টিম গঠন করা হয়েছে।
হজের প্রশিক্ষণের গুরুত্ব প্রসঙ্গে আল ওয়াসী ট্রাভেলসের মালিক মাওলানা আবদুল গাফফার বলেন, বাংলাদেশের একজন হজযাত্রী সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করে হজ পালনের জন্য সৌদি আরব গমন করেন। যথাযথভাবে হজের বিধি-বিধান, যাতায়াত, খাবার, সৌদি আরবে চলাফেরা, স্বাস্থ্য সচেতনতাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়ে যথাযথভাবে অবহিত না থাকলে হজ পালনে সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং হজপালন ত্রুটিযুক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। সেজন্য দেশে থেকে হজের নিয়ম-কানুন জেনে তা যথাযথভাবে মানলে হজপালন অনেকটা সহজ হয়ে যায়। তাই হজ প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অনেক বেশি।