ওয়াজ মাহফিল বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন ও সুপারিশে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট উলামায়ে কেরাম। আলেমরা বিষয়টিকে ধর্মীয় কার্যক্রমের ওপর হস্তক্ষেপ উল্লেখ করে বলেন, সরকার নানা অজুহাতে ওলামায়ে কেরাম ও ওয়াজ মাহফিলগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। যা দেশের উলামায়ে কেরামের মনে উদ্বেগ তৈরি করেছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) ঢাকার মোহাম্মদপুরে জামিয়া মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়ায় অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আলেমরা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এই সময় তারা আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের মাধ্যমে আলেমদের ওপর নজরদারি ও আলোচকদের নিবন্ধনের সুপারিশ ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের শামিল। ইসলামের কথা ওলামায়ে কেরাম কোরআন-হাদিসের আলোকে বলবেন। শিরক-বিদআতসহ কোরআন-সুন্নাহ বিরোধী যাবতীয় কার্যকলাপের বিষয়ে মানুষকে সতর্ক করা আলেমদের ধর্মীয় দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে আলেমদেরকে কোনোভাবেই নিবৃত্ত করা যাবে না।
বৈঠকে আলেমরা ৩টি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ক. আলেমদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি প্রেরণ, খ. আগামী ১১ এপ্রিল আলেমদের একটি প্রতিনিধি দলের আল্লামা আহমদ শফীর সঙ্গে সাক্ষাৎ ও গ. দেশের শীর্ষ আলেমদের মাধ্যমে বক্তাদের বিশেষ নসিহত ও নির্দেশনার ব্যবস্থাগ্রহণের নিমিত্তে ৮ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এ বিষয়ে প্রতিবেদন ও সুপারিশ প্রণয়ন করবে।
প্রবীণ আলেম ও জামিয়া মোহাম্মাদিয়া আরাবিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালামের সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ বিন হাফেজ্জী, বেফাকের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুল হামিদ (মধুপুরের পীর), মুফতি মাহফুজুল হক, মাওলানা ফারুক আহমদ, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা মন্জুরুল ইসলাম আফেন্দি, মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, মুফতি মাসউদুল করীম, মাওলানা মামুনুল হক, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবী, মুফতি কেফায়াতুল্লাহ আজহারি, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী, মাওলানা জালালুদ্দিন আহমদ, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মাওলানা ফয়সাল আহমদ, মাওলানা রাফি বিন মুনির, মাওলানা শফিকুর রহমান, মাওলানা লোকমান সাদী, মাওলানা আবুল কালাম আযাদ, মাওলানা ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মাওলানা আরিফ বিল্লাহ, মাওলানা তাহমীদুল মাওলানা ও মুফতি এনায়েতুল্লাহ প্রমুখ।