জেদ্দা কিং আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরের পরিবর্তে হজযাত্রীদের ঢাকায় প্রি-ডিপার্চার ইমিগ্রেশন চালু হতে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনা সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য সৌদি পাসপোর্ট বিভাগের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সুলাইমান আবদুল আজিজ ইয়াহিয়ার নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল বুধবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশে এসেছেন।
সফরকারী প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বুধবার দুপুরে গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, হাবের মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম, মকাস্থ হজ মিশনের কাউন্সেলর হজ মাকসুদুর রহমান, জেদ্দাস্থ সিজি এস এম বোরহান ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব আমিন উল্লাহ নূরী উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে সফররত সৌদি প্রতিনিধি দলের নেতা সৌদি হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের ড. হোসাইন বিন নাসের আল শরিফ ঢাকায় প্রি-ডির্পাচার ইমিগ্রেশন চালু করতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানের অনুরোধ জানান। এ সময় ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান হজযাত্রীদের ভোগান্তি লাঘবে ঢাকায় ইমিগ্রেশন চালু করতে সৌদি কর্তৃপক্ষকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
ঢাকায় ইমিগ্রেশন চালু হলে হজযাত্রীদের ব্যাগ মক্কাস্থ নিজ নিজ হোটেলে পৌঁছে দেওয়া হবে। জেদ্দা বিমানবন্দরে আর ইমিগ্রেশনের প্রয়োজন হবে না। তারা বিমান থেকে নেমে সরাসরি বাসে আরোহণ করে মক্কায় চলে যাবেন।
তবে প্রতিনিধি দলের নেতা হাব মহাসচিবের উদ্দেশ্যে বলেন, হজযাত্রীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও কাগজপত্র হ্যান্ডব্যাগে রাখার জন্য সচেতন হতে হবে। হাব মহাসচিব এ বিষয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
প্রতিনিধি দল আজ আশকোণাস্থ হজ অফিস ও হযরত শাহ জালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করবেন।
পরে রাতে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ এডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহর সঙ্গে হোটেল শেরাটনে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হবেন।
হজের সময় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বিমানে সৌদি আরব গমন করেন। এ সময় বিমানবন্দরে একের পর এক বিমান আসতে থাকে। ফলে ইমিগ্রেশনে জট লেগে যায়। অনেক সময় হজযাত্রীদের ২ ঘণ্টা থেকে ৮ ঘণ্টা পর্যন্ত ইমিগ্রেশনের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।
হজযাত্রীদের এমন ভোগান্তি লাঘবের পদক্ষেপ হিসেবে বিশ্বের অন্যতম দু’টি মুসলিম দেশ মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াকে গত দুই বছর নিজ নিজ দেশ থেকে আগাম সৌদি ইমিগ্রেশনের পদক্ষেপ নেয় সৌদি আরব। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সরকারের জোরালো আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি আরব এ বছর থেকে বাংলাদেশকেও এই সুবিধা দিতে রাজি হয়েছেন।