১৯৪৮ সালে ইসরাইল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর বহু মসজিদ বন্ধ করে দেয়। বন্ধ করে দেওয়া মসজিদগুলো নানা কাজে ব্যবহার করতে থাকে দেশটি। এরই ধারাবাহিকতায় উত্তর ফিলিস্তিনে অবস্থিত ঐতিহাসিক আল আহমার মসজিদকে নাইট ক্লাব ও অনুষ্ঠান আয়োজনের ভেন্যু বানাল দখলদার ইসরাইলের সাফেদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ।
সেই সঙ্গে আল আহমার মসজিদের নাম বদলে এর নাম রাখা হয়েছে খান আল আহমার (Khan Al Ahmar)। স্থানীয় পত্রিকার বরাত দিয়ে এই খবর জানিয়েছে মিডল ইস্ট মনিটর ও গলফ নিউজ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সাফেদ শহরের অন্যতম ঐতিহাসিক মসজিদটি ১৯৪৮ সালে দখল করে নিয়েছিল ইসরাইল। প্রথমে মসজিদের ভবনটিকে একটি ইহুদি স্কুল বানানো হয়, পরে এটিকে লিকুদ দলের নির্বাচনী প্রচারণার কাজে ব্যবহার করা হয়। এরপর কিছুদিন এটি ছিল কাপড়ের গুদাম। শেষমেশ এটিকে বানানো হয় নাইট ক্লাব।
সাফেদ ও তিবেরিস ইসলামিক নামের একটি সংস্থার সেক্রেটারি খাইর তাবারি বলেন, তিনি মসজিদটি ছেড়ে দেওয়া এবং সেটিকে আবার তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে একটি অভিযোগের দায়ের করেছেন। ওই আবেদনের বিষয়ে নাজারাথের আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন তিনি। এর পরও সেখানে নাইট ক্লাব বানানো হলো।
তিনি জানান, মসজিদটির মুসলিম মালিকানা প্রমাণে তিনি বিভিন্ন নথিপত্র সংযুক্ত করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও জনপ্রিয় ব্যক্তিবর্গকেও মসজিদটি রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সাফেদে একসময় ১২ হাজার মুসলিম বসবাস করতেন। ১৯৪৮ সালে ইসরাইলি বাহিনী ফিলিস্তিনি শহর সাফেদ দখল করে নেয় এবং মুসলমানদের জোর করে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।