একটি রোজা ভাঙার পরিবর্তে একটি রোজা রাখাকে কাজা রোজা বলে। আর ইচ্ছাকৃত রোজা ভাঙার পরিবর্তে ৬০টি রোজা রাখাকে রোজার কাফ্ফারা বলে।
রমজানে রোজা রাখার পর শরিয়তসম্মত প্রয়োজন ব্যতীতই দিনে পানাহার করলে কাজা ও কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়।
রমজানের রোজা রাখার পর দিনে বৈধ-অবৈধ যে কোনোভাবে সহবাস করলে কাজা ও কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়। তবে অবৈধ সহবাসের ক্ষেত্রে ব্যাভিচারের হারাম গোনাহ তা তো আমলনামায় থাকবেই। রোজাদার নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ জোরপূর্বকভাবে কোনো পুরুষ তার সঙ্গে সহবাস করলে নারীর শুধু কাজাই ওয়াজিব হয়, কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না। কিন্তু জোরপূর্বক সহবাসকারী পুরুষ যদি রোজাদার হয়ে থাকে তাহলে তার ওপর কাজা ও কাফ্ফারা উভয়টাই ওয়াজিব হয়।
রমজানে রোজা রেখার পর দিনে ধূমপান করলে কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়।
দিন বলতে বুঝাবে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়কালকে বুঝায়।
রাতে রোজার নিয়ত করে ফেললেও সুবহে সাদেক পর্যন্ত পানাহার বা সহবাস করার অনুমতি থাকে। এতে কাজা, কাফ্ফারা কোনোটাই ওয়াজিব হয় না।
সুবহে সাদেক হয়ে গেছে জানার পরেও আজান হয়নি বা ভালো করে আলো হয়নি এ ধরণের অজুহাতে পানাহার করলে বা ধূমপান করলে বা সহবাস করলে কাজা ও কাফ্ফারা ওয়াজিব হয়।
রমজান ব্যতীত অন্যকোনো মাসে রোজা ভাঙলে কাফ্ফারা ওয়াজিব হয় না।
এক রমজান মাসে একটিই কাফ্ফারাই ওয়াজিব হয়। অর্থাৎ এক রমজানের একাধিক রোজা ভাঙলেও কাফ্ফারা ওয়াজিব হবে একটাই।
যদি কোনো চান্দ্র মাসের প্রথম তারিখ থেকে কাফ্ফারার রোজা রাখা শুরু করা হয় তাহলে পূর্ণ দু’মাস রোজা রাখলেই হবে, মাস ২৯ দিনের হোক অথবা ৩০ দিনের হোক। অন্যথায় গণে গণে ৬০ দিন রোজা রাখতে হবে।
কাফ্ফারার রোজা বিরতিহীনভাবে ধারাবাহিক রাখতে হয়। মাঝখানে ঈদ এসেগেলে অথবা অসুখসহ যেকোনো সমস্যার কারণে একটি দিনও রোজা রাখতে না পারলে পিছনের রোজাগুলো কাফ্ফারার হিসেব থেকে বাদ পড়বে। আবার নতুনভাবে গণনা করে ৬০টা রোজা রাখতে হবে।
তবে মেয়েদের মাসিক স্রাবজনিত বিরতির কারণে পেছনের রোজাগুলো কাফ্ফারা থেকে বাদ পড়বে না।