২০১৯ সালে সরকারি ও বেসরকারিভাবে পবিত্র হজ গমনেচ্ছুদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা দেওয়া কার্যক্রম ১৬ জুন থেকে শুরু হবে। পবিত্র হজে যাওয়ার আগ পর্যন্ত চলবে এ কার্যক্রম।
প্রত্যেক হজযাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে জেদ্দা বিমানবন্দরে দেখানোর জন্য স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ করতে হয়। হজযাত্রীকে টিকা নিতে যাওয়ার সময় প্রাক-নিবন্ধন বা নিবন্ধনের ফটোকপি সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে। টিকা গ্রহণের পর হেলথ কার্ড সংরক্ষণ করতে হবে। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এ সেবা প্রদান করা হবে।
ঢাকা জেলা ও মহানগরীর হজযাত্রীরা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও টিকা নিতে পারবেন- ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, মুগদার ৫০০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল, ফুলবাড়িয়া সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, রাজারবাগের কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল ও সচিবালয় ক্লিনিকে।
এ ছাড়া আশকোনা হজ ক্যাম্পে ৩০ জুন থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। হজযাত্রীদের সুবিধার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও টঙ্গি শহীদ আহসান উল্লাহ মাষ্টার জেনারেল হাসপাতালেও দু’টি মেডিকেল সেন্টার চালু করা হয়েছে।
অন্য সব জেলার হজযাত্রীরা বিভাগীয় শহরের সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনের কার্যালয় থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর মেনিনজাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা নিয়ে স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ আগস্ট পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌদি আরবের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজ পালন করতে পারবেন।
৪ জুলাই থেকে বিমানের হজ ফ্লাইট শুরু হবে। ফিরতি হজ ফ্লাইট ১৭ আগস্ট থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ১৪ সেপ্টেম্বর।