ইসলামি শরিয়তের পরিভাষায় নিয়ত করে ইহরামসহ কাবা শরিফের চারপাশ সাতবার তাওয়াফ, সাফা-মারওয়া পাহাড়দ্বয়ের মাঝে সাতবার সাঈ করা এবং মাথা মুণ্ডানোকে ওমরা বলে।
ওমরা পালন গুরুত্বপূর্ণ সুন্নত আমল। ওমরা পুরুষ ও নারী সবার জন্য প্রযোজ্য। ওমরা পালন করলে হজ ফরজ হয়ে যায়, এমন কোনো বিধান নেই।
ওমরা পালনের বিশেষ কোনো সময় নেই। তবে হজের নির্ধারিত বিশেষ সময়ে (৮ জিলহজ থেকে ১২ জিলহজ পর্যন্ত পাঁচ দিন) ওমরা পালন করা বিধেয় নয়। এই পাঁচ দিন ছাড়া বছরের যেকোনো দিন যেকোনো সময় ওমরা পালন করা যায়। হজের সফরেও ওমরা করা যায়। একই সফরে একাধিক ওমরা করতে বাধা নেই। হজের আগেও (হজ না করেও) ওমরা করা যায় এবং হজের পরও বারবার ওমরা করা যায়। তবে রমজান মাসে ওমরা পালনে হজের সমান সওয়াব মিলে। আর শাওয়াল মাস ওমরা করার উত্তম সময়।
মক্কা-মদিনার প্রতি আকর্ষণ ও হৃদয়ের টান ঈমানের পরিচায়ক। তাই অনেকে প্রেমের টানে বারবার হজ ও ওমরা করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় অনেকে জীবনে অনেকবার ওমরা পালন করে থাকেন।
সম্প্রতি সর্বাধিক সংখ্যক ওমরা করে রেকর্ড গড়েছেন সৈয়দ দিলনাওয়াজ শাহ নামে পাকিস্তানি নাগরিক। মাত্র ১৭ বছরে তিনি ৩ হাজার ১৯৯ বার ওমরা পালন করেছেন। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ‘দ্য ন্যাশন’ ৯ জুন এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
গত ১৭ বছর ধরে তিনি টানা প্রতিবার সৌদি আরব সফর করেছেন এবং এক সফরে একাধিকবার ওমরা পালন করেছেন। প্রতি সফরে একাধিক বার ওমরা পালন করার কারণে তার ওমরার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ১৯৯।
গেল (১৪৪০ হিজরি) রমজান মাস পবিত্র নগরী মক্কায় অবস্থান করে ৬ জুন তিনি নিজ শহর করাচিতে ফিরে আসেন। মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে তিনি প্রতিদিন ৩ বার ওমরা পালন করেন।
এ রমজানেই তিনি ৬০ বার ওমরা পালন করেছেন। রমজানের শেষ দশক তিনি মদিনার মসজিদে নববিতে অবস্থান করেন।
দিলনাওয়াজ ১৯৯৯ সালের জুন মাস থেকে গত ২০ বছর যাবত টানা রোজা রেখে আসছেন। তবে ইসলামি শরিয়ত নির্ধারিত হারাম দিনে তিনি রোজা পালন থেকে বিরত থাকেন।
সৈয়দ দিলনাওয়াজ পাকিস্তানের করাচিতে একটি গ্যাস কোম্পানিতে ডেপুটি ম্যানেজার হিসেবে কাজ করতেন। ২০১২ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নেন। তিনি ছয় সন্তানের জনক।
সর্বাধিকবার ওমরা পালনে কোনো সুস্পষ্ট তথ্য গুগলসহ কোনো মাধ্যমে উল্লেখ নেই। কোথাও কোনো তথ্য না থাকার কারণেই ধারণা করা হচ্ছে, সৈয়দ দিলনাওয়াজ শাহই সবচেয়ে বেশিবার ওমরা পালনকারী ব্যক্তি।