চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনকারীদের গাইড হিসেবে ১০৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
এবার হজগাইড হিসেবে নিয়োগ পেতে মোট ১১৫ জন আবেদন করেছিলেন। সেখান থেকে সাক্ষাতকারের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষে ১০৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হলো।
নিয়োগপ্রাপ্ত হজগাইডদের মধ্যে রংপুর জেলার সর্বাধিক ২০ জন নিয়োগ পেয়েছেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার, ফিল্ড অফিসার, ফিল্ড সুপারভাইজার, মাস্টার ট্রেইনার, কেয়ারটেকার কাম সুপারভাইজার, উপপরিচালক, উচ্চমান সহকারী, সহকারী পরিচালক, অবসরপ্রাপ্ত কলেজ শিক্ষক, ফাজিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল, বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবরা হজগাইড হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
জাতীয় হজ ও ওমরা নীতি এবং হজগাইড নির্দেশিকা অনুযায়ী বিভিন্ন শর্তে তাদের এ নিয়োগ দেওয়া হয়। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব (হজ) এস এম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানা গেছে।
হজগাইড হিসেবে নির্বাচিতরা সরকারি ব্যবস্থাপনায় একজন সাধারণ হজযাত্রী হিসেবে বিবেচিত হবেন এবং সাধারণ হজযাত্রীদের যে সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে, তিনি তা প্রাপ্য হবেন। যেমন- তার ঢাকা-জেদ্দা-মদিনা-ঢাকার বিমান ভাড়া, সৌদি আরবে প্রদেয় বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও পরিবহন ফি, প্যাকেজে বর্ণিত খাওয়া ও বাড়ি ভাড়া সরকার বহন করবে।
তবে কোরবানিসহ অন্য কোনো প্রয়োজনে সরকার থেকে কোনো অর্থ প্রদান করা হবে না।
হজে সরকারি ব্যবস্থাপনাধীন হজযাত্রীদের গাইড করা এবং মিনা, আরাফা, মুজদালিফা ও অন্যান্য স্থানে হজযাত্রীদের সেবা প্রদানে হজগাইড কাজ করবেন। প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে ৩১টি শর্ত পালনের কথা বলা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, হজগাইডকে তার ওপর অর্পিত সকল দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারি ব্যবস্থাপনার প্রতি ৪৫ জন হজযাত্রীর জিম্মাদার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। হজগাইড হজযাত্রীদের সঙ্গে বিনীত, নম্র ও ভদ্র আচরণ করবেন। হজযাত্রীদের হজের আরকান-আহকাম ও হজের সফরের যাবতীয় বিষয়াদি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সব দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেক হজগাইডকে শরিয়ত ও সুন্নতের অনুসারী হতে হবে।
কোনো গাইড হজযাত্রীর কাছ থেকে বখশিশ, সম্মানী কিংবা কোনো উপহার গ্রহণ করতে পারবেন না। তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেনে জড়িত হতে পারবেন না। হজগাইডকে হজযাত্রা শুরুর পর থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন পর্যন্ত নিজ দলের হজযাত্রীদের সঙ্গে সার্বক্ষণিকভাবে অবস্থান করতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ বাংলাদেশি হজ পালনে সৌদি যাবেন। তন্মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২০ হাজার ১৯৮ জন।