সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে আসা হজ পালনকারীদের নির্বিঘ্নে হজপালন সম্পন্ন করতে বিভিন্ন ধরনের উন্নত প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি হজযাত্রীদের ইলেকট্রনিক ট্র্যাকিং সিস্টেম।
এ সিস্টেমের আওতায় হজযাত্রীরা সৌদি আরবে প্রবেশের পর থেকে বেরিয়ে যাওয়া পর্যন্ত ট্র্যাকিংয়ের আওতায় থাকবেন।
দেশটির হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, বিদেশি হজযাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য, তারা কোনো বিপদে পড়ছে কিনা কিংবা কোথায় অবস্থান করছে, সে বিষয়ে তদারকির জন্য এই সিস্টেম চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বিশেষ করে হজযাত্রীরা যেন কোনোভাবেই ঝুঁকিতে না পড়েন, সেটা দেখভালের জন্য নতুন এই ব্যবস্থা। এজন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন কোনো হজযাত্রীর অধিকার ক্ষুন্ন না হয়। মন্ত্রণালয় থেকে এটাও বলা হয়েছে, এ পদ্ধতির ফলে সৌদি আরবে কোনো হজযাত্রী হারিয়ে গেলে তাকে দ্রুত অনুসন্ধান করাও সহজ হবে।
এদিকে সৌদি আরবের হজ ও ওমরা মন্ত্রণালয় আসন্ন হজ মৌসুমে প্রস্তুতি জন্য ওমরা ভিসার জন্য আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দিয়েছে। এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৫ জিলহজ থেকে পুনরায় আবেদন গ্রহণ শুরু হবে এবং ওমরাপালনকারীরা ১ মহররম থেকে ওমরা পালনের সুযোগ পাবেন।
এ বছর রেকর্ড সংখ্যক মানুষ ওমরা পালন করেছেন। সৌদি মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৭৩৬ জন মানুষ ওমরা পালনের জন্য ভিসা পেয়েছেন। তন্মধ্যে ৭৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৫৭ জন ওমরা পালন করেছেন।
সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ভিসা পেয়েছে পাকিস্তান। দেশটির ১৬ লাখ ৫৭ হাজার ৭৭৭ জনকে ভিসা দেওয়া হয়েছে। এভাবে ইন্দোনেশিয়ার ৯ লাখ ৬৭ হাজার ১২৫, ভারতের ৬ লাখ ৫০ হাজার ৪৮০, মিসরের ৫ লাখ ৩৬ হাজার ৪৫, আলজেরিয়ার ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬২৮, ইয়েমেনের ৩ লাখ ৩৮ হাজার ৬১৮, তুরস্কের ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৯৪, মালয়েশিয়ার ২ লাখ ৭৮ হাজার ৬৭৪, ইরাকের ২ লাখ ৭৭ হাজার ৫৭১ এবং জর্ডানের ২ লাখ ১৬ হাজার ১৬৫ জন ওমরা পালন করেছেন।