বাংলাদেশের হজযাত্রীদের নির্ধারিত ব্যয় পার্শ্ববর্তী ভারতের মুসলমানদের জন্য ধার্যকৃত ব্যয়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ তথ্যটি সঠিক নয়। তবে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ব্যয় আরও কমানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব শেখ মো. আবদুল্লাহ।
রোববার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে হাজী মো. সেলিমের (ঢাকা-৭) এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রোববার বিকেলে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
লিখিত প্রশ্নের লিখিত জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, ২০১৮ সালের তথ্য অনুযায়ী ভারতের মুসলমানদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর ব্যয় ছিল অঞ্চলভেদে ২ লাখ ৪৬ হাজার রুপি থেকে ২ লাখ ৮৫ হাজার রুপি (প্রায় ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৮৪১ টাকা)। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজযাত্রীর ব্যয় ছিলো ৪ লাখ রুপি থেকে ৫ লাখ রুপি। অথচ ২০১৮ সালে বাংলাদেশে সরকারি ব্যবস্থাপনার প্যাকেজ-বি’র হজযাত্রীর ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা এবং প্যাকেজে-এ’র হজযাত্রীর ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৯ টাকা। বেসরকারি হজ ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীর ব্যয় ছিল ৩ লাখ ৩১ হাজার ৩৫৯ টাকা। হজের ব্যয় আরও কমানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। এ জন্য অন্যান্য বছরের মতো বিমান ভাড়া বৃদ্ধি না করে ১০ হাজার ১৯৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
মো. মোজাফফর হোসেনের (জামালপুর-৫) এর এক প্রশ্নের জবাবে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, হজ গমনেচ্ছুদের অনেকে বিমান টিকিট না পাওয়ায় ফিরে যেতে হয়- এ তথ্যও সঠিক নয়। ২০১৮ সালে নিবন্ধিত সব হজযাত্রী হজ পালন করে দেশে ফিরে এসেছেন। টিকিট না পেয়ে হজে যেতে পারেননি এ ধরনের অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ২০১৭ সালে হজে অনিয়মের জন্য সংশ্লিষ্ট হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবারও এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।