বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) থেকে শুরু হচ্ছে হজ ফ্লাইট। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সৌদি এয়ারলাইন্স হজযাত্রী পরিবহন করবে।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বিমান জানিয়েছে, নির্ধারিত সময়ে, নির্বিঘ্নে হজ ফ্লাইট পরিচালনার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। চলতি হজ মৌসুমের প্রথম হজ ফ্লাইটটি (বিজি-৩০০১) ৪ জুলাই সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ৪১৯ হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশে ঢাকা ছেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর প্রায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ হজযাত্রী পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব যাবেন। এবারই প্রথমবারের মতো কিছু ফ্লাইটের জেদ্দা বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন কার্যক্রম ঢাকায় সম্পন্ন করা হবে। এজন্য সৌদি আরবের একটি ইমিগ্রেশন টিম ঢাকায় অবস্থান করবে।
বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরবের ইমিগ্রেশন সম্পন্নকারী হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ৪ জুলাই থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটের যে সব হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে সম্পন্ন হবে তাদেরকে সৌদি আরবের প্রি-অ্যারাইভ্যাল ইমিগ্রেশনের আগে কিছু কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
সোমবার (১ জুলাই) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এসএম মনিরুজ্জামান স্বাক্ষরিত জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইমিগ্রেশনের পূর্বে প্রত্যেক হজযাত্রীর হাতের দশ আঙুলের ছাপ গ্রহণ, পাসপোর্ট স্ক্যান ও ছবি তোলা, লাগেজে নির্দিষ্ট রঙ ও স্টিকার লাগানো, ঢাকা হজ ক্যাম্পে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভ্রমণকারী হজযাত্রীদের ইমিগ্রেশন সম্পন্ন ও সর্বশেষ বিমান বন্দরের ১১ নম্বর গেটে স্থাপিত সৌদি আরবের প্রি-অ্যারাইভ্যাল ইমিগ্রেশনের ভেরিফিকেশন কাউন্টারে যেয়ে সৌদি ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
এ সব কাজ যথাসময়ে সম্পন্ন করার সুবিধার্থে বিভিন্ন হজ ফ্লাইটের যাত্রীদের বিমানযাত্রার কমপক্ষে আট ঘণ্টা পূর্বে আবশ্যিকভাবে ঢাকা হজ ক্যাম্পে রিপোর্ট করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এছাড়া সংশ্লিষ্ট এজেন্সিসমূহকে ফ্লাইট সিডিউল অনুযায়ী হজযাত্রীদের যথাসময়ে ঢাকা হজ ক্যাম্পে উপস্থিত করার জন্যও বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়। অন্যথায় হজযাত্রীদের যাত্রা ব্যাহত হতে পারে। কোনো কারণে ফ্লাইট শিডিউল পরিবর্তন হলে তা যথাসময়ে অবহিত করা হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।