মক্কা নগরী (সৌদি আরব) থেকে: চির বিস্ময়, চির আকর্ষণীয় ও সীমাহীন ভালোবাসা বুকে পুরে কালো গিলাফে আচ্ছাদিত হয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীর প্রথম ঘর পবিত্র কাবা। যাকে বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর বলা হয়।
পৃথিবীর মানুষের কাছে অত্যন্ত আকাঙ্ক্ষার বস্তু এই ঘর। যার কারণে পৃথিবীর প্রতিটি জনপদের লোকেরা এই ঘরের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ও আবেগ অনুভূতি নিয়ে চলে আসে। আগুনে তাপমাত্রায় ত্রাহি ত্রাহি অবস্থার মাঝে কালো গিলাফে ঢাকা এ ঘরের দর্শন শান্তির পরশ বয়ে আনে মুমিনের জীবনে। পথের ক্লান্তি, নানা ধকল দূর হয়ে যায় নিমিষে।
তাইতো নানা বয়সী মানুষ ছুটে আসেন কাবার পানে লাব্বাইক বলতে বলতে। চলতি হজ মৌসুমেও আসছেন লাখ মানুষ। কত কিসিমের মানুষ, কত রঙয়ের মানুষ তার কোনো ইয়ত্তা নেই। এরই মাঝে নজর কেড়েছে দুই বৃদ্ধ হজযাত্রী।
তাদের একজন ইন্দোনেশিয়ার উহি ইদ্রিস সামারি, আরেকজন মালয়েশিয়ার নাগরিক মোস্তফা জামিল। তাদের বয়স তাদের দৃষ্টি আকর্ষণের মূল কারণ।
তন্মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার নাগরিক উহি ইদ্রোস সামারিকে বলা হচ্ছে এবারের হজপালনকারীদের মধ্যে বেশি বয়স্ক তিনি। পাসপোর্টের হিসাবে তার বয়স ১৩০। পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে বুধবার তিনি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন।
জেদ্দা বিমান বন্দরে সৌদি কর্মকর্তারা তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন এবং তার হাতে কিছু উপহার তুলে দিয়েছে।
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক এই হজযাত্রীর মেয়ে স্থানীয় গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, তার বাবার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা আল্লাহ পূরণ করেছেন।
আর মালয়েশিয়ান নাগরিক মোস্তফা জামিলের বয়স ১০০। তিনি ২২ জুলাই হজের জন্য সৌদি আরব এসে পৌঁছেছেন। তিনিও পরিবারের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে হজপালন করতে এসেছেন। তাকে জেদ্দা বিমান বন্দরে বিশেষ সেবা ও সম্মান দেখানো হয়েছে। তিনি মক্কায় পৌঁছে আনন্দে কেঁদে ফেলেন এবং আল্লাহতায়ালার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।