কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি ও রাজিবপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ হাজার ২৫০ পরিবাবরের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে কোনাবাড়ী (গাজীপুর) উলামা পরিষদ।
সোমবার (৬ আগস্ট) উলামা পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। ত্রাণ হিসেবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পরিবারকে নগদ অর্থও প্রদান করা হয়।
প্রতিনিধি দলে থাকা মাওলানা সাঈদ কাদির জানান, সবমিলিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকা সমপরিমাণের ত্রাণকার্য্য পরিচালনা করা হয়েছে কোনাবাড়ী উলামা পরিষদের উদ্যোগে। এতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন কোনাবাড়ী এলাকার সর্বস্তরের জনসাধারণ।
উত্তরাঞ্চলের কুড়িগ্রামের সর্বশেষ দু’টি থানা চিলমারি ও রাজিবপুর। ব্রহ্মপুত্র নদের এপারে চিলমারি, ওপারে রাজিবপুর। চিলমারির উত্তর বজ্রা, ঠকেরহাট ও জোরগাছসহ নদীপাড়ের মানুষদের ঘরের ভেতরে পানি হয়েছিল গড়ে তিনফিট। ফসল বন্যার পানিতে পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়। অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে অগণিত মানুষ।
তিনি বলেন, চিলমারির চর ও রাজিবপুরের অবস্থা হয়েছিল আরও ভয়াবহ। কোনাবাড়ি উলামা পরিষদ আগ থেকে চিলমারির কয়েকটা চরের খোঁজখবর নিয়ে রেখেছিল। সংগঠনটি জানতে পেরেছিল চরবাসীর দুর্দশাগ্রস্ততার খবর।
মাওলানা সাঈদ কাদির বলেন, ট্রলারযোগে ত্রিশ কিলোমিটার পানিপথ অতিক্রম করে আমরা শিকারপুর চরে গিয়েছিলাম। ট্রলার থামাতেই কিছু বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দিকে চোখ পড়ল! তারা আমাদের অপেক্ষায় সেখানে বসে আছেন। তাদের চোখমুখ দেখে বোঝা যাচ্ছিল, একান্ত দায়ে ঠেকেই তারা এখানে এসেছেন। তারা সাধারণ প্রয়োজনে মানুষের কাছে হাত পাতার মতো লোক নন। কিছু বিধবা, পঙ্গু ও পাগলিকে দেখে চোখের পানি আটকানো যাচ্ছিল না।