মিনার তাঁবু (সৌদি আরব) থেকে: মিনার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাংলাদেশের তুলনায় এ তাপমাত্রা অনেক বেশি। কিন্তু যারা কয়েকদিন ধরে মক্কায় অবস্থান করছেন তাদের জন্য এ তাপমাত্রা খুব বেশি না। মক্কায় তাপমাত্রা ৪৮ থেকে ৫০ পর্যন্ত ওঠানামা করছে প্রায়ই।
মিনায় হাজিরা নির্দিষ্ট তাঁবুতে ইবাদত-বন্দেগি করে সময় পার করছেন। এখানে তারা একদিন থেকে ৫ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন। এটা মোস্তাহাব আমল। আর মিনায় অবস্থান করা সুন্নত।
মিনার তাঁবুগুলো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত। চলতি বছর মিনার তাঁবুতে নতুন প্রযুক্তির ৪৫ হাজার ৬০০টি নতুন শীতাতপ যন্ত্র বসানো হয়েছে। নতুন এই এয়ার কন্ডিশন যন্ত্রগুলো তাঁবুর তাপমাত্রাকে নিরবিচ্ছিন্নভাবে ২৪ ঘণ্টা ঠাণ্ডা রাখতে সক্ষম।
মিনায় দীর্ঘসময় কাটাতে হয়। তাই প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের জামাতের পর ধর্মীয় তালিম, বয়ান, জিকির-আজকার, কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও মোনাজাতে মশগুল থাকবেন।
পুরুষরা নিজ তাঁবুতে আজানসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতের সঙ্গে আর নারীরা একাকী পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবেন।
মিনায় অবস্থানকালে হজরত ইবরাহীম (আ.) ও হজরত ইসমাঈল (আ.)-এর কঠিন পরীক্ষার ঘটনাসমূহ থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
মিনায় অবস্থানকালে বেশি বেশি তালবিয়া লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক..., আল্লাহু আকবার, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু পড়তে বলা হয়েছে। সম্ভব হলে এ দোয়াটি পড়া যেতে পারে- 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু; ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির।'
হজ মৌসুমে আগত মদিনাবাসীদের সঙ্গে এই মিনাতে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু'বার বৈঠক করেন এবং কালিমার দাওয়াত দেন। অতঃপর তারা মুসলমান হন। মদিনায় ইসলামের প্রচার-প্রসার ও দ্বীনি পরিবেশ প্রতিষ্ঠার মূল প্রক্রিয়াটি এখান থেকে সূচনা হয়। তাই মিনা থেকে দাওয়াতের কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত করার জন্য নিয়ত করা।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ জিলহজ) এশার নামাজের পর থেকে মক্কায় অবস্থানরত হজযাত্রীরা নিজ নিজ কামরা কিংবা মসজিদে হারাম থেকে হজের ইহরাম বেধে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করে মিনা পৌঁছান। মিনায় যাত্রার মধ্য দিয়ে হজের মূল কাজ শুরু হয়, যা শেষ হবে ১২ জিলহজ তারিখে।