হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত আইনের অভাব, ঢাকা এবং জেদ্দা হজ অফিসের পুরাতন জনবল কাঠামো, সৌদি আরবে অপর্যাপ্ত বাংলাদেশি মেডিকেল সেন্টার, বেসরকারি হজ এজেন্সির হাজি সংগ্রহে অসম ও অস্বচ্ছ প্রতিযোগিতা, বেসরকারি হজযাত্রীর ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগীদের হস্তক্ষেপ ও দৌরাত্ম্য সুষ্ঠু হজ ব্যবস্থাপনার অন্তরায়।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অফিসার্স ক্লাবে হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় হজ ব্যবস্থাপনার এসব দুর্বলতার কথা উঠে এসেছে।
কর্মশালায় বলা হয়েছে, হজ সংক্রান্ত সৌদি সরকারের কিছু নিয়ম হজযাত্রীর অনুকূলে নয়। আর ক্ষেত্রবিশেষ হজ কার্যক্রমের সঙ্গে নিয়োজিত সৌদি আরবের বিভিন্ন সংস্থার অসহযোগিতার দরুণ হজযাত্রীদের নিদারুণ কষ্ট পোহাতে হয়। এ বিষয়গুলোর সুষ্ঠু সমাধান জরুরি।
হজ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শেখ মো. আব্দুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব দুর্বলতা কাটিয়ে ২০১৯ সালের তুলনায় আগামী বছরের হজ ব্যবস্থাপনা আরো সুষ্ঠু ও সুন্দর করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি,আগামী হজ ব্যবস্থাপনা হবে আরও সুন্দর ও গতিশীল। ইনশাআল্লাহ কোনো হজযাত্রী অভিযোগ করার কোনো সুযোগ পাবে না। আমরা হজকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরি এমপি, বেগম রত্না আহমেদ এমপি, সৈয়দ নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারি এমপি ও হজ এজেন্সিস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম শাহাদত হোসাইন তসলিম।
২০২০ সালের হজ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। এসময় হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী। প্রেজেন্টেশনে ২০১৯ সালের হজ সংক্রান্ত নানা তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
কর্মশালায় হজ এজেন্সির মালিক, আলেম-উলামা, সাংবাদিকসহ হজ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছেন।