আরও ৩৭টি এজেন্সিকে উমরা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর আগে ৩ অক্টোবর ধর্ম মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় ২৪৫টি বৈধ উমরা এজেন্সির তালিকা প্রকাশ করে।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (উমরা) আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তালিকা প্রকাশিত হয়।
এ নিয়ে দুই ধাপে ২৮২টি এজেন্সি উমরা কার্যক্রম পরিচালনার অনুমতি পেলো।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সাতটি শর্তে উমরা এজেন্সিগুলোকে উমরা যাত্রী পাঠানোর অনুমোদন দিয়েছে। এসব শর্তের কোনো একটি ভঙ্গ করলেই লাইসেন্স বাতিল, জরিমানাসহ অন্যান্য শাস্তি আরোপের কথা বলা হয়েছে।
শর্তগুলোর অন্যতম হচ্ছে- উমরা যাত্রীদের সৌদি আরবের ব্যয়ের টাকা আন্তর্জাতিক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ ‘আইবিএএন (IBAN)’ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে পাঠাতে হবে এবং বিষয়টি ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে।
এ ছাড়া উমরা যাত্রীদের যথাসময়ে পাঠানো ও ফেরত আনা এবং যথাযথ সেবা প্রদান করতে হবে এবং উমরা যাত্রীদের যাবতীয় তথ্য ১৫ শাওয়ালের মধ্যে আশকোনা হজ অফিসের পরিচালককে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। নির্ধারিত ১ হাজার জনের কোটার অতিরিক্ত কোনো উমরাহ যাত্রী কোনো এজেন্সি প্রেরণ করতে পারবে না। কোনো উমরা যাত্রী কোনো কারণে দেশে ফেরত না এলে নির্ধারিত তারিখের ১ মাসের মধ্যে তার বিস্তারিত হজ অফিসকে জানাতে হবে। এজেন্সিকে উমরা পালনের ব্যয় বিবরণী নির্ধারণ করে ধর্ম মন্ত্রণালয়কে অবহিত করতে হবে। এছাড়া বিগত বছর উমরা যাত্রী পাঠানোর ক্ষেত্রে ১০০০ জনের কোটা অতিক্রম করেনি এবং সবাই ফেরত এসেছে মর্মে অঙ্গীকারনামা দিতে হবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ থেকে গত বছর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার জন উমরা পালন করেছেন। প্রতি বছরই হজযাত্রীর পাশাপাশি উমরা যাত্রীর সংখ্যা বাড়ছে।