মাশরুম একটি পরিচিত নাম। মাশরুমকে বলা হয় বহুগুণী পরস্বাদু সবজি। এটি উঁচুমানের পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাবার। মাশরুমের রয়েছে বেশ কিছু ঔষধি গুণ। আর এ কারণে এটি খাদ্য হিসেবে খুবই সুলভ, জনপ্রিয় ও চাহিদাসম্পন্ন। খাবার হিসেবে আমাদের দেশে মাশরুমের প্রচলন বেশিদিন আগের নয়, যে কারণ এটা অনেকে খেতে অভ্যস্ত নন।
অনেকে মাশরুম খেতে খুব পছন্দ করেন। অনেকে আবার এটাকে ব্যাঙের ছাতা ভেবে হারাম খাদ্যের সঙ্গে তুলনা করে খাওয়া থেকে বিরত থাকেন। আসলে মানুষের এই ধারণাটি একেবারেই ভুল। কারণ মাশরুম আর ব্যাঙের ছাতা এক জিনিস নয়। ব্যাঙের ছাতা যেখানে-সেখানে, অপরিচ্ছন্ন ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে গজায়। ফলে এর কিছু কিছু প্রজাতি বিষাক্ত হয়।
কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত মাশরুম পরিচ্ছন্ন পরিবেশে, টিস্যু কালচার পদ্ধতিতে চাষ করা হয়; তাই এটা স্বাস্থ্যকর। শুধু তাই নয় পবিত্র কোরআন ও হাদিসে মাশরুমকে অত্যন্ত মর্যাদাকর খাবারের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। এটাকে বেহেশতি খাবার মান্না-সালওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে বিভিন্ন কিতাবে। সহিহ বোখারি শরিফের হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘মাশরুম এক শ্রেণির মান্না ও এর রস চোখের জন্য ঔষধ বিশেষ।’
উৎপাদন প্রক্রিয়ায় হারাম ও নাজায়েজ কোনো কিছুর অবলম্বন ও সহযোগিতা ছাড়া উৎপাদিত মাশরুম হালাল, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে প্রতিদিনের খাবারে মাশরুম যুক্ত করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। মাশরুম আমাদের দেশের সবজির ঘাটতি পূরণে সহায়ক।