২০২০ সালের দ্বি-পাক্ষিক হজ চুক্তির জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল সৌদি আরব রওয়ানা করেছেন।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সৌদি আরবের উদ্দেশে তারা ঢাকা ত্যাগ করেন। সৌদি আরব পৌঁছে প্রতিনিধি দল পবিত্র উমরা পালন শেষে বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন।
৪ ডিসেম্বর সৌদি আরবের জেদ্দায় ২০২০ সালের বাংলাদেশ-সৌদি আরবের মাঝে হজ চুক্তি অনুষ্ঠিত হবে। সৌদি আরবের পক্ষে নেতৃত্ব প্রদান করবেন সৌদি হজ ও উমরা বিষয়ক মন্ত্রী ড. মোহাম্মদ সালেহ বিন তাহের বেনতেন।
হজ চুক্তি সম্পন্ন করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ৭ ডিসেম্বর দেশে ফিরবেন।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনিছুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরী, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মিজানুর রহমান, হজ এজেন্সিজ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব)-এর সভাপতি এম. শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ, কনসাল জেনারেল (জেদ্দা) ফয়সাল আহমেদ, কাউন্সেলর (হজ) মো. মাকসুদুর রহমান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে যুক্ত হবেন।
এবারের হজ চুক্তিতে বাংলাদেশ আরও বিশ হাজার জনের হজ কোটা বাড়ানোর অনুরোধ করবে। সেই সঙ্গে ৫০% হারে হজযাত্রীদের জেদ্দা এবং মদিনায় ফ্লাইট পরিচালনা, বাংলাদেশি হজযাত্রীদের সৌদি আরব অংশের ইমিগ্রেশন ঢাকায় সম্পন্ন করার প্রস্তাব করা হবে। এছাড়া চুক্তিতে মাশায়েরে মোকাদ্দাসায় হজযাত্রীদের সেবার মান আরও উন্নত করার প্রস্তাব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য যে, মুসলিম জনসংখ্যার ভিত্তিতে বিভিন্ন দেশের অনুকূলে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ হজ কোটা বরাদ্দ দেয়। বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজপালনের সুযোগ পেয়ে আসছেন। দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের অনুকূলে হজ কোটা বাড়ানোর জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহবান জানানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, এবার পাঁচ হাজার জনের কোটা বাড়াতে পারে সৌদি আরব।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২০ সালে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে ১ আগস্ট। বাংলাদেশ থেকে হজ ফ্লাইট শুরু হবে ২৫ জুন।