কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স থেকে এবার এক কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। পাওয়া গেছে বিপুল পরিমাণের স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রা। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে।
শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মসজিদ কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি সিন্দুক খোলা হয়। সন্ধ্যায় গণনা শেষে টাকার এই হিসাব পাওয়া যায়। এর আগে গত বছরের ২৬ অক্টোবর দানবাক্স খুলে এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া যায়।
পাগলা মসজিদের স্টোর কিপার মো. বেলাল বার্তা২৪.কমকে জানান, সকালে মসজিদের সিন্দুক খুলে প্রথমে টাকা বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় গণনা। সারাদিন চলে গণনা। টাকা গণনায় মসজিদ-মাদরাসা ৬০ ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফার তত্ত্বাবধানে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মাহমুদ পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফজলে রাব্বি, মাহামুদুল হাসান এবং মো. উবায়দুর রহমান সাহেল, সিন্দুক কমিটির সদস্যসহ রূপালী ব্যাংক কিশোরগঞ্জ শাখার সব পর্যায়ের কর্মকর্তা টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন।
টাকা গণনা দেখতে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মসজিদে ভিড় করেন। পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকা, পয়সা, স্বর্ণালংকার দান করা ছাড়াও প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটিতে হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিস দান করেন।
মানুষের বিশ্বাস, খাস নিয়তে এই মসজিদে দান করলে মনের আশা পূরণ হয়। সে জন্য দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ এখানে দান করতে আসেন। শুধু মুসলমান নন, অন্য ধর্মের মানুষও এখানে দান করেন।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা গেছে, তিন মাস পর পর এ মসজিদের দানবাক্স খোলা হয়। এই মসজিদের আয় থেকে মসজিদের উন্নয়ন, এতিমখানা, মাদরাসা, জটিল রোগীদের চিকিৎসায় অর্থসাহায্যসহ বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।