হজ পালনকারীদের উচিৎ এদিকে কঠোর দৃষ্টি দেওয়া। ত্রুটিমুক্ত হজপালনে সচেষ্ট হওয়া।
১. হজের সফরে নারী-পুষের অবাধ চলাফেরা, গল্প-গুজব, লাগামহীন কথাবার্তা বলা ও পর্দার বিধানকে খুব হালকা করে দেখা হয়। অথচ হজের সফরেও পর্দার বিধান ফরজ। এক ফরজ আদায় করতে যেয়ে আরেক ফরজ ছেড়ে দেওয়া কোনোভাবেই ঠিক না।
২. মসজিদুল হারামে যাতায়াতের পথে, নামাজ পড়তে যেয়ে, আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে, হোটেলে বসে বা অন্যান্য জায়গায় ইবাদত-বন্দেগি বাদ দিয়ে শুধু এই আলোচনা করতে থাকা যে, কে কত টাকা দিয়ে হজে এসেছে। কে কি সুবিধা পেয়েছে ইত্যাদি।
৩. রোগব্যধি হতে মুক্তি বা বরকতের জন্য মক্কা-মদিনার বিভিন্ন স্থানের মাটি, পাথর আনা এবং জায়নামাজ বা অন্যান্য কাপড় কাবা শরিফের সঙ্গে মুছে আনা।
৪. মসজিদে হারামে না যেয়ে অলসতা করে নিজ হোটলে নামাজ আদায় করা।
৫. কাবা শরিফ তাওয়াফ, সাফা-মারওয়াতে সায়ি করার সময়, মোনাজাতের সময় এবং মক্কার-মদিনার বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানে স্মৃতিসরূপ নিজের বা সম্মিলিত ছবি তোলা।
৬. কবরের আজাব মুক্তির জন্য জমজমের পানি দিয়ে ইহরামের কাপড় ধুয়ে আনা। কিংবা কাবার গিলাফের অংশ, সুতা কেটে আনা।
৭. যার যেমন মন চায়, মাসয়ালা বর্ণনা করতে থাকা। অভিজ্ঞ ইসলামি স্কলারদের দেওয়া মাসয়ালাকে উপেক্ষা করা। অথচ বর্ণিত বিষয়ে তার সঠিক কোনো জ্ঞান নেই। আশ্চর্যের বিষয় হলো- তাদের অনেকেই এতোটাই হঠকারী হয় যে, তারা এটা বুঝতেও রাজি নয়।
মুফতি অহিদুল আলম, খতিব, মসজিদ আল মাগফিরাহ্, সেক্টর- ৩, উত্তরা, ঢাকা- ১২৩০