হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান প্রফেসর ড. শায়েখ আবদুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আস সুদাইস করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের জন্য জমজমের পানি সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন। সামাজিক ও জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শায়েখ সুদাইসের ঘোষণার পর থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদেরকে জমজমের পানি সরবরাহ শুরু হয়েছে। এছাড়া মক্কা ও মদিনা অধিদপ্তরও তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জমজমের পানি বিতরণ করছেন।
সম্প্রতি মদিনা সফরকালে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে জমজমের পানি বিতরণ করেন হারামাইনের প্রেসিডেন্ট শায়েখ সুদাইস।
উল্লেখ্য, জমজম মসজিদে হারামের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৩৮ গজের। হজ ও উমরা আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব। সহিহ হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন। -সহিহ বোখারি: ১৫৫৬
সাহাবি হজরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ -সহিহ মুসলিম: ২৪৭৩
কোনো কোনো হাদিসে জমজমের পানিকে ‘রোগীর ঔষধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আম্মাজান হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। -সুনানে তিরমিজি
এ বর্ণনা থেকে এ কথাও জানা যায় যে, জমজমের পানি বহন করা জায়েজ। আর যারা জমজম কূপের কাছে নয়, তাদের পান করানো নববী সুন্নত।
জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো- দোয়া করা। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ -সুনানে ইবনে মাজাহ: ৩০৬২
বিখ্যাত বুজুর্গ ও মনীষীরা জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন দোয়া করতেন।
-সৌদি সংবাদ সংস্থা (ওয়াস) অবলম্বনে মুহিউদ্দীন ফারুকী