ইহুদি-খিস্টানদের উৎসবে ছাড় দিলেও ধর্মীয় বিষয়ে মুসলিমদের ওপর কড়াকড়ি অব্যাহত রেখেছে দেশটির সরকার। এ নিয়ে ফ্রান্সের মুসলিমরা সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন। দেশটির একাধিক মুসলিম সংগঠন সরকারের এই নীতির বিরোধিতা করে নিন্দা জানিয়েছে।
ফ্রান্সের একটি তুর্কি মুসলিম সংগঠন জানিয়েছে, দেশটিতে চলা লকডাউন তুলে নিতে এমন দিন নির্বাচন করা হয়েছে, যাতে স্পষ্ট বোঝা যায় সরকার ইহুদি-খ্রিস্টানদের উৎসবের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মুসলিমদের ধর্মীয় বিষয়ে ঠিক তার বিপরীত।
শুক্রবার ফরাসি ইসলামিক সোসাইটিসহ কয়েকটি মুসলিম সংগঠন জানায়, প্রধানমন্ত্রী ফরওয়ার্ড ফ্লিপ ঘোষণা করেছেন, আগামী ২৯ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে ধীরে ধীরে লকডাউন তুলে নেওয়া হবে।
অথচ আগামী ২৪ মে মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অতএব লকডাউন শিথিলের সময় আরেকটু এগিয়ে আনা যেত। মুসলিম সংগঠনগুলো সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সরকারকে নতুন তারিখ নির্ধারণের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার বলেছেন, করোনার কারণে ‘ঘৃণা ও বিদেশিদের ভয় পাওয়া, কাউকে বলির পাঁঠা বানানো এবং আতঙ্ক ও গুজব ছড়ানোর সুনামি’ বয়ে চলছে।
বিশ্বব্যাপী ‘হেটস্পিচ’ বন্ধ করতে সর্বাত্মক চেষ্টারও আহ্বান জানান তিনি।
এক বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘অনলাইনে ও রাস্তায় বিদেশিবিরোধী দৃষ্টিভঙ্গি বেড়েছে এবং কোভিড-১৯ সম্পর্কিত মুসলিমবিরোধী হামলার ঘটনা ঘটেছে।’
তিনি সব মানুষের প্রতি সংহতি দেখাতে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
পশ্চিম ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলমানের বাস। ফ্রান্সের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮.৮ শতাংশ মুসলমান। সংখ্যা হিসেবে তা প্রায় ৫৭ লাখ ২০ হাজার জন।