পশ্চিমবঙ্গে করোনা ভাইরাস সুপার স্প্রেডারে পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) পশ্চিমঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ২১৩ জন। এর অর্ধেক শুধু কলকাতায় আক্রান্ত। শহরে একদিনে আক্রান্ত ৭ হাজার ৪৮৪ জন। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনায়। ওই জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তিন হাজার ১১৮ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যটিতে কোভিডে মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। এর মধ্যে কলকাতায় মারা গিয়েছেন ৭ জন এবং উত্তর ২৪পরগনায় ৩ জন। এদিন রাজ্যে কোভিড পরীক্ষা হয়েছে ৭০ হাজার মতো।
এরইমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে হতে চলেছে গঙ্গাসাগর মেলা। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকসহ বিভিন্ন মহলে আশঙ্কা ছড়িয়েছে, গতবছর হরিদ্বারে কুম্ভমেলার মতোই না এই পশ্চিমবঙ্গের সাগরমেলাও না সুপার স্প্রেডার হয়ে ওঠে!
ভারতে করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতির নিরিখে বড়দিন এবং বর্ষবরণের উৎসব বাতিল করেছিল দিল্লি এবং মহারাষ্ট্র। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ সরকার তা করেনি। সেই থেকেই মমতার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে। এমন কথাও অনেকে বলছেন যে, এটা ভোট ব্যাঙ্ক রাজনীতির মাশুল গুনেছে বাংলা। ভারতে গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা ভেবেই বড়দিনের উৎসব বাতিল করেনি রাজ্য সরকার।
সেই একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল উত্তরপ্রদেশের আসন্ন বিধানসভা ভোটের কথা ভেবে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। কারণ, ওই মেলায় শতকরা ৮০ ভাগ পুণ্যার্থী আসেন উত্তরপ্রদেশ-সহ উত্তর ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার অবশ্য বারবারই বলছে, সমস্ত রকম কোভিডবিধি মেনেই সাগরমেলা হবে। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের শাসকদল তৃণমুল কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়ায় বড় ভাবে ভোটের ময়দানে ঝাপাচ্ছে। ফলে এর মাশুল বঙ্গবাসীকে গুনতে হবে না তো? এই প্রশ্নই এখন রাজ্যবাসীর মুখে।