গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস

, কলকাতা

কলকাতা ডেস্ক | 2023-09-01 23:47:35

ভারতের জাতির জনক মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী)। ভারত ভাগের প্রায় দেড় বছর পর ১৯৪৮ সালের এই দিনে দিল্লির বিরলা হাউজে আততায়ী তাঁকে হত্যা করে।

তিনি ছিলেন এই উপমহাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের একজন। বুধবার মহাত্মা গান্ধী হত্যার ৭১ বছর পূর্ণ হলো।

সারা ভারত ঘুরে বেড়ানো মহাত্মা গান্ধী শেষ সময়ে দিল্লির বিরলা হাউসে থাকার সিদ্ধান্ত নেন। সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় প্রার্থনা সভা হতো। প্রতিদিনই অংশ নিতেন কয়েকশ' মানুষ।

সেদিন সন্ধ্যার প্রার্থনা সভার জন্য গান্ধীজি প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ঠিক সেই মুহূর্তে নাথুরাম গডসে নামে আততায়ী খুব কাছ থেকে পিস্তলের তিনটি তাঁর বুক লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। গুলি ছোড়ার আগে গডসে গান্ধীজির দিকে ঝুঁকে প্রণামও করেছিলেন।

স্থানীয় সময় বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু হয় মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর। তাঁকে হত্যার দায়ে গডসেকে ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বর ফাঁসির দণ্ড দেওয়া হয়। একই সঙ্গে, তার সহযোগী নারায়ন আপ্তেরও ফাঁসি হয়েছিল।

১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্ম নেন মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। তাঁর মাধ্যমেই স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ও অসহযোগীতা ঘোষিত হয়েছিল। তিনি সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ, জাতির অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। এসব কিছুর মূলে ছিল ভারতকে বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত করা। ১৯৩০ সালে তিনি ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ৪০০ কিমি দীর্ঘ কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন। ভারত সরকারিভাবে তাঁকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

 

এ সম্পর্কিত আরও খবর