ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তাণ্ডবলীলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী এলাকায়। যত সময় যাচ্ছে তত বুলবুলের দাপটে মৃত ও আহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাজ্যের পূর্ব মেদিনীপুর, বসিরহাট, সন্দেশখালী, হিঙ্গলগঞ্জ ও কলকাতা মিলিয়ে মোট পাঁচজনের মৃত্যুর খবর এখনও পর্যন্ত পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ঝড়ে ১৫ জন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে, বকখালীতে দুটি জেটি ঘাট ভেঙে গিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এরকম ঝড় তারা জীবনেও দেখেননি। ঘূর্ণিঝড় আয়লাও এত ক্ষতি করেনি। সলিল সমাধি ঘটেছে একাধিক শস্যক্ষেতের। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ধানি জমি নষ্ট হয়ে গেছে।
অসময়ের বৃষ্টিতে ফুল চাষেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে হাওড়া জেলায়। বাগনানে এ সময় ফুলচাষ সবচেয়ে বেশি হয়। কয়েক হাজার চাষি এ ফুল চাষের সঙ্গে যুক্ত থাকেন। ক্ষতি হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়ও। সেখানে ঘূর্ণিঝড়ের দাপট না থাকলে অতি বৃষ্টি শেষ করেছে সবজিক্ষেত। ধসে গেছে বহু কাঁচাবাড়ি। ক্ষতি হয়েছে পাকাবাড়ির। ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়েছে রাজ্যের শত শত গাছ।
তবে কলকাতায় সেভাবে ঝড়ের দাপট লক্ষ্য না করা গেলেও ভেঙেছে বহু গাছ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাব বা আফটার শক রোববারও কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গে থাকবে। ফলে এদিনও কলকাতার আকাশ মেঘলা আছে। থেকে থেকে এদিনও বৃষ্টি হচ্ছে। আফটার শকের প্রভাবে এদিনও গাছ ভেঙে পড়ছে কলকাতায়।
ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে উদ্বিগ্ন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী ফোনে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মমতাকে।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী টুইটে জানিয়েছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে সবরকমের সহযোগিতা করবে কেন্দ্র সরকার। সবার সুস্থতাও কামনা করি। উড়িষ্যাতেও বুলবুলের কারণে বিপর্যয় হয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে কথা হয়েছে। সবরকমের সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় সরকার।'