রায় ঘোষণার আগেই পুলিশের গায়ে হাত তুলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি মো. মজনু।
বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের এজলাসে এ ঘটনা ঘটে।
আদালতে তোলার পর থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে মজনু। অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন সবাইকে। প্রথমে গলার স্বর নীচু থাকলেও আস্তে আস্তে তা বাড়তে থাকে।
এ সময় আসামির দিকে পিঠ দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন পুলিশের এসআই নৃপেন। এক পর্যায়ে এজলাসে হ্যান্ডকাপ পরা অবস্থায় মজনু নৃপেনের গায়ে আচমকা হাত তুলে বসেন।
ঘটনার আকস্মিকতায় হতবিহবল নৃপেন নিজেকে সামলে নেন। এরপর তার চেঁচামেচি আরও বেড়ে যায়।
অবশেষে বিচারক এজলাস খালি করে বেলা ৩:০২ মিনিটি এজলাসে উঠেন রায় ঘোষণার জন্য।
গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ধর্ষণের শিকার হন ভিকটিম (২১)। চার্জশিটে বলা হয়, আসামি মজনু পিছন থেকে গলা ধরে ফুটপাতে মাটিতে ফেলে গলা চেপে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায়ই ধর্ষণ করেন।
গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাস স্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার উপর হতে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার পূর্বক জব্দ করা হয়।
ধর্ষনের ঘটনায় গত ৬ জানুয়ারি ভিকটিমের অধ্যক্ষ বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। ভিকটিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।