বয়সজনিত সমস্যা দেখিয়ে অনেক ক্ষেত্রে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধার ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়া সংক্রান্ত মামলায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপীল বিভাগ এ মন্তব্য করেন।
নানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, মুক্তিযোদ্ধার তালিকাও যে সঠিক সেটাও তো এখন বলা যাবে না। কারণ এখানেও আবার ভুলভ্রান্তি বের হতে পারে। এ সময় বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, বয়সের গণ্ডগোল পাকিয়ে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হেনস্তা করা হচ্ছে। আমার সঙ্গে ৯ বছরের একটি ছেলে যুদ্ধে যুক্ত ছিল। সে আমাদের খাবার এনে দিত। তার মা রান্না করে ছেলেকে দিয়ে আমাদের বাংকারে খাবার পাঠাতেন। তাকে কি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে? বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু ১১ বছর বয়সী কেরানীগঞ্জের লালুকে কোলে নিয়ে বীর উত্তম খেতাব দিয়েছেন। কারণ সে একাই অনেক পাক বাহিনী মেরেছে। বয়স নিয়ে ৬০-৭০ বছরের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের হয়রানি করা হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স নির্ধারণ বিষয়ে অমুক্তিযোদ্ধা দিয়ে কমিটি করা হয়েছে।