হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হক রিমান্ডে পুলিশের কাছে তিনটি বিয়ের কথা স্বীকার করেছেন। তবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিয়েতে ছিল না কোনো কাবিননামা ও দেনমোহর। আর বিয়ে গুলো কোনো কাজি পড়াননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
তার দাবি করা দ্বিতীয় স্ত্রী ঝর্ণার করা ধর্ষণের মামলায় তিন দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ এসব তথ্য জানিয়েছেন। গত মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই তিন দিন এ মামলায় রিমান্ডে ছিলেন মামুনুল।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক তিনটি বিয়ে করার কথা স্বীকার করেছেন। কিন্তু ধর্ষণ মামলার বাদি ঝর্ণা ও অপর এক নারীকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না। কাবিননামা বা দেনমোহরও ছিল না বলে জানিয়েছেন মামুনুল। এই দুই স্ত্রীর একজনের বাড়ি ফরিদপুর, যিনি মামলার বাদি আর আরেক স্ত্রীর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণ মামলার বাদির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক জানিয়েছেন, ঝর্ণার স্বামীর সঙ্গে আগে থেকেই তাঁর পরিচয় ছিল। সেভাবে ২০০৭-০৮ সাল থেকে তাঁর সর্ম্পক। স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হলে ঝর্ণার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক হয়। ঝর্ণাকে বিয়ের সময় কোনো কাজি ছিল না, কাবিননামা-দেনমোহরও নেই।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামুনুল স্বীকার করেছেন, ‘কাবিন’ ও ‘দেনমোহর’ ছাড়া মেলামেশা করা ঠিক হয়নি, ভুল হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে মামুনুল হক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন, সেগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে বলে মামলার তদন্তকারী সংশ্লিষ্ট জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এর আগে গত ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি রুমে নারীসহ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় লোকজন। মামুনুল ওই নারীকে স্ত্রী বলে দাবি করেন। পরে ওই নারী মামুনুলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের মামলা করেন।