চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার প্রসাদপুরের নাজমা বেগম নামে এক নারীর দায়ের করা মামলায় রহনপুর পৌরসভার মেয়রসহ ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়াারি) দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন।
সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের আদালত পরিদর্শক মো. শহিদুল্লাহ।
এর আগে, গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নাজমা বেগম বাদী হয়ে বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর, ইট-রড চুরি ও গুরুতর জখমের অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বাদী নাজমা বেগম গোমস্তাপুর উপজেলার নুনগোলা প্রসাদপুরের মৃত আনোয়ারুল ইসলামের স্ত্রী। ওই মামলায় রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খান, ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শফিকুল ইসলাম মুন্না, ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাদিকুল ইসলাম, পৌরসভার সার্ভেয়ার বারিউল ইসলাম, প্রসাদপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকবর আলীসহ ২৬ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২ দুই সেপ্টেম্বর গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর পৌরসভার মেয়র মো. মতিউর রহমান খানের নেতৃত্বে ৭০/৮০ জন দুষ্কৃতিকারী বাদী নাজমা খাতুনের বাড়ির ইটের প্রাচীর ভেঙে ফেলে। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে নাজমা বেগমের ছেলে নাজমুল ফেরদৌস গুরুতর আহত হয়। মেয়রের হুকুমে ট্রাকে করে ইট রড চুরি করে নিয়ে যায় তারা। এতে তাদের প্রায় তিন লাখ টাকা ক্ষতিসাধন হয়। এ ঘটনায় গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর নাজমা বেগম বাদী হয়ে পৌর মেয়র মতিউর রহমান খানকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখসহ আমালি আদালত গোমস্তাপুরে মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে গোস্তাপুরের সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) তদন্তের নির্দেশ দেন। একই বছরের ১৪ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন গোস্তাপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. শাহরিয়ার নজির।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান জানিয়েছেন, বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর, ইট-রড চুরি ও গুরুতর জখমের অভিযোগে পৌর মেয়র মতিউর রহমান খানসহ ২৬ জনের নামে মামলা দায়ের করেন নাজমা বেগম। আসামিরা মিমাংসার শর্তে সোমবার পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। বাদীর মালামালগুলো ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন আদালত। তবে আদালতের নির্দেশ তারা মানেন নি। আদালতের আদেশ অমান্য করায় বিজ্ঞ বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।