মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানি ২২ নভেম্বর

, আইন-আদালত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম | 2023-11-20 16:01:12

রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপি সময় চাওয়ায় প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদনের উপর শুনানি হয়নি।

সোমবার (২০ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ (ভারপ্রাপ্ত) ফয়সাল আতিক বিন কাদেরের আদালতে জামিন শুনানির শুরুতেই মহানগর পিপি অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে শুনানির জন্য সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ।

এ সময় মির্জা ফখরুলের পক্ষ অর্ধশতাধিক আইনজীবী এর প্রতিবাদ করেন। তারা বলেন, জামিন শুনানিতে পিপির কোনো প্রয়োজন নেই। আদালতে কোনো বিবিধ মামলার শুনানিতে পিপি উপস্থিতির প্রয়োজন পড়েনি। তারা আদালতের কাছে জামিন শুনানির জন্য প্রকাশ্যে তারিখ চান। আদালত পরে তারিখ জানাবেন বললে আদালত কক্ষে মৃদু হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। কবে পিপি শুনানি করতে পারবেন জানার জন্য ফোন করা হলে পিপির মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এতে করে বিকাল ৩টা ১০ মিনিটে আদালতে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়। বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা প্রকাশ্যে জামিন শুনানির তারিখ ঘোষণা ছাড়া এজলাস ছাড়তে অস্বীকৃতি জানান। এ মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত দিনের অন্য মামলা শুনানি করতে বাধা দেন আইনজীবীরা। এমতাবস্থায় ৩টা ১৪ মিনিটে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়ায় ১০ মিনিট বিরতি দিয়ে বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের এজলাস থেকে নেমে যান।

৩টা ৪০ মিনিটে বিচারক ফের এজলাসে উঠেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষ হতে জানানো হয় পিপির সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। বিচারক জামিন শুনানির জন্য ২২ নভেম্বর ধার্য করলে আইনজীবীরা এজলাস থেকে বেরিয়ে আসেন।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে জামিন শুনানিতে ছিলেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার,  মোঃ মোহসিন মিয়া, গোলাম মোস্তফা খান, ওমর ফারুক ফারুকী, ইকবাল হোসেন, হযরত আলী, জয়নুল আবেদীন মেজবাহপ্রমুখ।

গত ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জা ফখরুলের গুলশানের নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। আটকের পর তাকে আদালতে হাজির করা হলে ঢাকার মেট্রোপলিটন মাজিস্ট্রেট আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

অভিযোগ করা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির পূর্ব ঘোষিত মহাসমাবেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতা কর্মীরা হাতে লাঠিসোঠা, লোহার রড, ইট পাটকেল ও ককটেলসহ বিভিন্ন মারাত্মক অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবন ভাংচুর করে। বাস ভবনের সামনে বে-আইনি সমাবেশ ঘটিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয় ও মিছিল করতে থাকে। ওই সময় তরা বৈশাখী পরিবহনে বাসসহ একাধিক বাস, পিকআপ ভাংচুর করে অনুমান ২০ (বিশ) লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন করে। 

এ সম্পর্কিত আরও খবর