কারাগারের ছাদ কেটে পালানো ৪ আসামির দুই দিনের রিমান্ড

, আইন-আদালত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বগুড়া | 2024-07-03 17:18:37

বগুড়া কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ কেটে পালানোর পর গ্রেফতার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামির দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) আদালতের বিচারক মুমিন হাসানের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া কয়েদীরা হলেন- কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলার দিয়াডাঙ্গা এলাকার মৃত আজিজুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম মজনু ওরফে মঞ্জু(৬০), নরসিংদীর মাধবদী উপজেলার ফজরকান্দি এলাকার মৃত ইসরাফিল খাঁর ছেলে আমির হোসেন ওরফে আমির হামজা(৪১), বগুড়ার কাহালু উপজেলার উলট্ট গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে মো. জাকারিয়া (৩৪) এবং বগুড়া সদর উপজেলার কুটুরবাড়ি পশ্চিমপাড়া এলাকার ইসরাইল শেখ চাঁন মিয়ার ছেলে ফরিদ শেখ(৩০)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বগুড়া সদর পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক সুজন মিঞা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, কারাগারের ছাদ কেটে পালানোর পর গ্রেফতার চার কয়েদীদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। বুধবার ওই আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

পুলিশ পরিদর্শক সুজন বলেন, ওই চার আসামি বগুড়া কারাগারে আছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হবে।

এদিকে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদী পালানোর ঘটনায় কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেলকে বগুড়া থেকে প্রত্যাহার করেছে কারা অধিদফতর। এছাড়া দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে বগুড়া কারাগারের ডেপুটি জেলার হোসেনুজ্জামান, প্রধান কারারক্ষী আব্দুল মতিনসহ ৫ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ওই ঘটনায় আরো ৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।

গত ২৬ জুন দিবাগত রাতে বগুড়া জেলা কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ কেটে বিছানার চাদর দিয়ে রশি বানিয়ে পালিয়ে যায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার কয়েদী। তারা দীর্ঘদিন ধরে একই সেলে থাকার কারণে পরিকল্পনা করে কারাগার থেকে পালিয়ে যায়। ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে জেলখানার অদূরে চেলোপাড়া চাষি বাজার এলাকা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সহায়তায় তাদের আটক করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে জেল পালানোর অভিযোগে মামলা দায়েরের পর আদালতের মাধ্যমে আবারও কারাগারে পাঠানো হয়।

ওই ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও কারা অধিদফতর থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। উভয় কমিটিই একাধিকবার বগুড়া জেলা কারাগার পরিদর্শন করেছেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর