আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেনসহ ১৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আবু সাঈদ হত্যা মামলার প্যানেল আইনজীবী অ্যাডভোকেট রোকনুজ্জামান রোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
গতকাল এই নিষেধাজ্ঞা দেন রংপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের (তাজহাট) বিচারক আসাদুজ্জামান। গত ৩০ সেপ্টেম্বর আবু সাঈদ হত্যা মামলার ১৪ আসামির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন তদন্ত কর্মকর্তা ।
আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে মোট ১৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ জনকে আসামি করে রংপুর চিফ জুডিশিয়াল আমলি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এই হত্যা মামলাটি তদন্তাধীন আছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই)।
ইতোমধ্যে আবু সাঈদ হত্যা মামলায় উল্লেখিত ১৭ জন আসামির মধ্যে এএসআই আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়াও অন্য মামলায় গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে।
দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা পাওয়া আসামিরা হলেন- রংপুর রেঞ্জের সাবেক ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সাবেক কমিশনার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন,সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান, বেরোবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার টগর,দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন, তাজহাট থানার সাবেক ওসি রবিউল ইসলাম, বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতি ভূষণ, বেরোবির সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মন্ডল, সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান, প্রক্টর অফিসের কর্মকর্তা রবিউল হাসান রাসেল, বেরোবি ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া।
গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদ আবু সাঈদ হত্যা মামলার এজাহারে উল্লেখিত এই ১৪ জন আসামি যেন বিচার এড়াতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে না পারেন এই আশঙ্কায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেন আদালত।