মিথ্যা যৌন পীড়ন মামলা করার দায়ে বাদীর কারাদণ্ড

, আইন-আদালত

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ | 2024-07-31 22:07:09

নওগাঁয় যৌন পীড়নের মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগে বাদীকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় প্রদান করেন।

অভিযুক্ত হলেন জেলার পত্নীতলা উপজেলার পত্নীতলা গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে আসমা বেগম।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ পি.পি এ্যাডভোকেট আজিজুল হক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৮ জুলাই যৌন পীড়নের অভিযোগে জেলার পত্নীতলা উপজেলার পত্নীতলা গ্রামের আলা উদ্দিনের মেয়ে আসমা বেগম একই গ্রামের মহাতাব শাহের ছেলে মোস্তফা শাহ্সহ চার জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।

পরবর্তীতে ট্রাইব্যুনালে পাঁচ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০২৩ সালের ২৮ মে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় সব আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়। শারীরিক, আর্থিক ও মানসিক ক্ষতি হয়েছে দাবি করে ২০২৩ সালের ২০ নভেম্বর যৌন পীড়নের দাবি করা নারী আসমা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ১৭ ধারায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী মোস্তফা শাহ্ (৭০)।

ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার অভিযোগটি আমলে নিয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করা উক্ত নারীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। চলতি বছরে ২৫ জুলাই নালিশি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করা হয়। চলতি বছর ৩০ জুলাই উভয় নালিশি মামলার যুক্তিতর্ক শেষ করা হয়।

আজ জনাকীর্ণ আদালতে আসমা বেগমকে তিন বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করার রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর জেলা ও দায়রা জজ মো. মেহেদী হাসান তালুকদার।

রাষ্ট্রপক্ষে বিশেষ পি.পি অ্যাডভোকেট আজিজুল হক ও আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট মকবুল হোসেন মামলা পরিচালনা করেন।

এ সম্পর্কিত আরও খবর