নাশকতার জন্য জঙ্গি সংগঠন হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নে দুই আইনজীবীর মামলার কার্যক্রম স্থগিতই থাকছে। মামলার কার্যক্রম স্থগিতে হাইকোর্টের আদেশই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ নিয়ে করা আপিল চার সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
দুই আইনজীবী হলেন, হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিৎ দেবনাথ। দুই আইনজীবীদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এএম আমিন উদ্দিন, ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার হাসান এমএস আজিম।
২০১৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি হাটহাজারী উপজেলায় মাদরাসাতুল আবু বকর নামে একটি মাদরাসায় ‘জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে’ অভিযান চালিয়ে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছিল র্যাব। ২১ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী উপজেলার লটমণি পাহাড়ে র্যাবের অভিযানে অস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে ১৮ আগস্ট হামজা ব্রিগেডকে অর্থায়নের অভিযোগে ঢাকা থেকে ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা (৩৯), আইনজীবী হাসানুজ্জামান লিটন (৩০) ও আইনজীবী মাহফুজ চৌধুরী বাপনকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়। তাদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পরবর্তীতে তারা জামিনে মুক্তি পান।
শাকিলা ফারজানা বিএনপি নেতা সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে।
পরবর্তীতে চলতি বছরের ২০ আগস্ট হাটহাজারীর মামলায় ৩৩ জন আসামি ও বাঁশখালীর মামলায় ২৮ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে আদেশ দেন চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল হালীম। পলাতক দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এরপর অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করে হাসানুজ্জামান লিটন ও মাহফুজ চৌধুরী বাপন। ১১ নভেম্বর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন। হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন করে।