একাত্তরের ৭ মার্চকে ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে রিট শুনানির পর মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী এক মাসের মধ্যে এ গেজেট প্রকাশ করার নির্দেশ দেন।
এছাড়া দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় যথাযথ স্থানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি স্থাপনেরও নির্দেশ দেওয়া হয় এ সময়। সেই সঙ্গে আদেশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ২০০৯ সালের এ সংক্রান্ত হাইকোর্টের আদেশ কেন বাস্তবায়িত হয়নি, তাও এক মাসের মধ্যে লিখিতভাবে জানাতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া পাঠ্য বইয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ইতিহাস কেন অন্তর্ভুক্ত করা হবে না, তা জানতে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে রিট শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এবিএম আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। আর রিটের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ড. বশির আহমেদ।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর এক রিটের শুনানি নিয়ে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে স্থানে বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন, সে স্থানে মঞ্চ পুনর্নির্মাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য স্থাপন এবং ৭ মার্চকে কেন ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন আদালত। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছিল।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি ৭ মার্চের স্মৃতি বিজড়িত স্থান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছিলেন হাইকোর্ট।