বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলা
সাবেক এমপি লতিফ ফের দুই দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ লতিফকে আরও দুইদিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলমগীর হোসেন শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মফিজুল হক ভূঁইয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ‘ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় কোতোয়ালী থানার বিস্ফোরক আইনে দায়ের হওয়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লতিফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।’
গত ৪ আগস্ট নগরীর নিউমার্কেট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় দুষ্কৃতিকারীরা দেশীয় অস্ত্র, লাঠিসোঁটা, রড ও কিরিচ নিয়ে হামলা চালায়। এতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী তাফহীমুল ইসলাম আহত হন।
এ ঘটনায় তাফহীমুল ইসলাম ৭৩৫ জনকে এজাহারনামীয় এবং এক হাজার থেকে ১২শ’ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। সাবেক এমপি এম এ লতিফ এ মামলার ২৩ নম্বর আসামি।
লতিফ আওয়ামী লীগের হয়ে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি ছিলেন। সরকারের পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। গত ১৭ আগস্ট সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বায়েজিদ বোস্তামী মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত নগরের ডবলমুরিং থানায় গুলি করে জখম ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় করা আরেকটি মামলায় এম এ লতিফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন।
পরবর্তীতে চাকরিজীবী মো. আলম হত্যার ঘটনায় নগরীর ডবলমুরিং থানায় দায়ের হওয়া মামলায় গত ৩০ অক্টোবর লতিফের ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।