ব্রণের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে এর বিপরীত দৃশ্যও রয়েছে। ব্রণবিহীন ত্বকের অধিকারীদের দেখে অবাক হতে হয়, এতো চমৎকার ত্বক রক্ষা করা কীভাবে সম্ভব! এমন পারফেক্ট ত্বক পাওয়ার জন্য রকেট সায়েন্স জানার প্রয়োজন নেই। কিছু নিয়ম মেনে চলতে পারলেই সুস্থ, পরিষ্কার ও ব্রণবিহীন ত্বক পাওয়া সম্ভব হয়।
ব্রণবিহীন ত্বকের জন্য যে পাঁচটি প্রধান নিয়ম মেনে চলা প্রয়োজন, তা এখানে তুলে ধরা হলো।
নিউ ইউর্কের মাউন্ট সিনাই হসপিটালের ডিরেক্টর অফ কসমেটিক ও ক্লিনিক্যাল রিসার্চ এন্ড অ্যাসিস্টেন্ট প্রফেসর অফ ডার্মাটোলজি জশুয়া জাখনার, এমডি জানান, মুখে ব্রণের সমস্যা ময়লাজনিত কারণেই হয়, এমনটা নয়। তবে নিয়মিত মুখ পরিষ্কার রাখলে ব্রণের প্রাদুর্ভাব কমে যায় অনেকখানি। তিনি পরামর্শ দেন, মুখের ময়লা, মরা চামড়া, বাড়তি তেল ও মেকআপ পরিষ্কার করবে এমন ধরণের কোন ফেসওয়াশ নিয়মিত ব্যবহারের জন্য।
জেনে বিস্মিত হবেন, গবেষণা থেকে দেখা গেছে যে- বাথরুমের চাইতেও বেশি জীবাণু পাওয়া যায় নিত্য ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিতে। ডাঃ জাখনার বলেন, 'মোবাইল ফোন যদি কিছুক্ষণ পরপর পরিষ্কার কাপড় দিয়ে পরিষ্কার না করা হয়, তবে মোবাইলের উপরে বাইরের ও ত্বকের ময়লার আস্তরণ পড়ে যায়। যা পুনরায় ত্বকের সংস্পর্শে আসলে ব্রণের সংক্রমণ ঘটে'।
কোন লেখা পড়ার সময় কিংবা কোন সিনেমা দেখার সময় নিজের অজান্তেই গালে হাত দিয়ে বসে থাকেন? আপাতদৃষ্টিতে খুবই নিরীহ এই অভ্যাসটিই ব্রণ সৃষ্টির জন্য দায়ী। হাতের তালু ও তালুর উলটা পিঠে লেগে থাকা অদৃশ্য জীবাণু ও ময়লা খুব সহজেই মুখের ত্বকে লেগে যায়। যা থেকেই মূলত ব্রণের উদ্রেক ঘটে থাকে। তাই চেষ্টা করতে হবে, মুখে হাত দেওয়া থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকার জন্য।
সকালে বিছানা ঝাড়ার সময় দেখা যায়, প্রচুর ধুলা উড়ছে। এই সকলই কি ধুলা? মোটেও না। এর সাথে মিশে থাকে শরীরের মরা চামড়া। রাতে ঘুমানোর সময় শরীরের মরা চামড়া ঝরে পড়ে। যা বিছানার চাদরে আটকে থাকে। বিছানা ঝাড়ার ফলে কিছু মরা চামড়া দূর হলেও, বেশিরভাগ মরা চামড়াই রয়ে যায়। তিন-চার দিন পরপর বিছানার চাদর বদলানো না হলে, এই মরা চামড়া পুনরায় ত্বকের সংস্পর্শে এসে ব্রণের সমস্যা তৈরি করে।
চুলের গোড়া থেকে প্রাকৃতিক ভাবেই তেল উৎপন্ন হয়, যা মাথার ত্বক ও চুলকে সুরক্ষিত রাখে। কিন্তু এই তেলই মুখের ত্বকের রোমকূপকে আটকে ফেলে। যা থেকে খুব সহজেই ব্রণ দেখা দেয়। খেয়াল করে দেখবেন, টানা তিন-চার দিন শ্যাম্পু করা না হলে কপালে ছোট ছোট ব্রণ বা র্যাশ দেখা দেয়।
টেক্সাসের ফোর্ট অর্থ মেডিকেল সেন্টারের ডার্মাটোলজিস্ট বেট্টি রাজান জানান, স্ক্যাল্প বা চুলের গোড়া থেকে উৎপন্ন তেল বেশ ভারি হয়ে থাকে। নিয়মিত শ্যাম্পু করার ফলে ত্বকে তেল ও শুষ্কতার সামঞ্জস্যতা বজায় থাকে। ফলে চুল কিংবা ত্বক অপরিষ্কার হবার ভয় থাকে না এবং ব্রণের প্রাদুর্ভাবও দেখা দেয় না।