আবহাওয়াজনিত কারণ, পরিবেশ দূষণ, ডায়বেটিস, থাইরয়েড, অনিয়ম ও শরীরে পুষ্টির অভাব দেখা দিলেই মূলত এই সমস্যাটি দেখা দেয়। এদিকে শীতের আমেজ চলে এসেছে চারপাশে। শীতকালীন সময়ে পায়ে ফাটাভাব দেখা দেওয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয় তুলনামূলকভাবে বেশি।
যে কারণেই সমস্যাটি দেখা দিক না কেন, সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়ে চাইলেই দূর করা সম্ভব পায়ের গোড়ালি ফাটা। এমন তিনটি ঘরোয়া নিয়ম তুলে ধরা হলো।
একটি মাঝারি আকৃতি বালতির দুই-তৃতীয়াংশ কুসুম গরম পানিতে তিন টেবিল চামচ বেকিং সোডার মেশাতে হবে। এই মিশ্রণে ১৫-২০ মিনিটের জন্য দুই পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। পানি থেকে পা তুলে পিউমিক স্টোনের সাহায্যে পায়ের গোড়ালি ঘষে মরা চামড়া তুলে ফেলতে হবে। এরপর পানিতে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করে নিতে হবে। প্রতি সপ্তাহে অন্তত দুই-তিন বার এইভাবে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে হবে।
কুসুম গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে তাতে পনের মিনিটের জন্য পা ভিজিয়ে রাখতে হবে। পাই থেকে পা তুলে পানি মুছে পা শুকিয়ে নিতে হবে। পা শুকিয়ে গেলে পায়ের গোড়ালিতে অ্যালোভেরা জেল মসৃণভাবে ম্যাসাজ করে মোজা পরে নিতে হবে। এভাবে সারারাত রেখে পরদিন সকালে কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে।
এক টেবিল চামচ নারিকেল তেল/ অলিভ অয়েলে ৫-৬ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি পায়ের গোড়ালিতে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে মোজা পরে নিতে হবে। সারারাত এইভাবে রেখে দিয়ে সকালে কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিতে হবে।