যার মাঝে পায়ে দুর্গন্ধ দেখা দেওয়ার সমস্যাটি প্রধান। এই সমস্যা অনেকের সারা বছর জুড়ে থাকলেও, শীতকালীন আবহাওয়াতে কমবেশি সকলেই সমস্যাটির মুখোমুখি হন।
মূলত পায়ের ফাংগাল ইনফেকশন ও ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকেই সমস্যাটি সৃষ্টি হয়। যে কারণে পায়ের প্রতি নিতে হয় বাড়তি যত্ন। সঠিক যত্নের অভাব ও অবহেলা হলে সমস্যাটির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। পায়ের দুর্গন্ধকে দূরে রাখতে চাইলে অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। তাই প্রথমেই জেনে নিন কেন পায়ে দুর্গন্ধ দেখা দেয়।
ভেজা মোজা ব্যবহার
ভেজা মোজা পায়ে দীর্ঘ সময় পরে থাকার ফলে খুব সহজেই পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়। এই ব্যাকটেরিয়া পায়ের ঘামের সঙ্গে মিশে বাজে গন্ধ সৃষ্টি করে।
ফাংগাল ইনফেকশন
পায়ের লুকায়িত ফাংগাল ইনফেকশন থেকেই সাধারণত এই সমস্যাটি দেখা দেয়। এই ইনফেকশন সবসময় সমস্যা তৈরি না করলেও শীতকালে এর প্রকোপ দেখা দেওয়া শুরু করে।
পা অপরিষ্কার থাকা
শীত কিংবা গ্রীষ্ম যে সময়ই হোক না কেন, পা দীর্ঘদিন অপরিষ্কার থাকার ফলে দুর্গন্ধ দেখা দিবেই। অযত্নের ফলে খুব সহজেই পায়ে ব্যাকটেরিয়া জন্মায়।
অবশ্যই সঠিক নিয়ম ও পরিচর্যার মাধ্যমে এই সমস্যাটিকে পুরোপুরি দূর করা সম্ভব। জেনে রাখুন নিয়মগুলো।
বাতাস চলাচল করে এমন জুতা পরা
বদ্ধ বুট, কেডস বা শু না পরে স্যান্ডেল জাতীয় জুতা পরতে হবে। এতে খুব সহজেই পায়ে বাতাস চলাচল করতে পারবে এবং পায়ে ভেজাভাব থাকবে না। এতে করে পায়ে ঘাম তৈরি হবে না। ফলে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ কমে যাবে অনেকটা। পা যতটা শুষ্ক থাকবে, দুর্গন্ধ দেখা দেবার সম্ভবনা ততই কমে যাবে।
পা শুষ্ক রাখা
পা আবদ্ধ হয়ে থাকে এমন জুতা এড়ানোর পাশাপাশি চামড়ার জুতা ব্যবহার করা থেকেই বিরত থাকতে হবে। কারণ পায়ের ঘাম চামড়ার জুতা খুব দ্রুত শোষণ করে এবং দীর্ঘ সময় ভেজা থাকে। যার ফলে পা ও জুতা থেকে বাজে গন্ধ ছড়ায়। এছাড়া পা ধুয়ে অবশ্যই ভালোভাবে শুকিয়ে নিতে হবে।
পা নিয়মিত পরিষ্কার করা
যত নিয়মই মানা হোক না কেন, পা যদি নিয়মিত পরিষ্কার না রাখা হয় তবে পায়ে দুর্গন্ধ দেখা দেওয়া রোধ করা যাবে না। সারাদিন বাইরে ঘোরাঘুরি করার পর বাসায় এসে পা পরিষ্কার না করলে ব্যাকটেরিয়া খুব সহজেই জন্মাবে পায়ে। তাইতো বাইরে থেকে বাসায় ফিরে কুসুম গরম পানিতে লবণ ও শ্যাম্পু মিশিয়ে অন্তত ১৫ মিনিট পা ভিজিয়ে রেখে এরপর পা ধুয়ে নিতে হবে।
স্ক্রাব ব্যবহার করা
নিয়মিত পা পরিষ্কার করার পাশপাশি প্রতি সপ্তাহে একবার অন্তত পায়ে স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে। নতুবা পায়ের আঙ্গুলের ভাঁজে ও পায়ের গোড়ালিতে জেদি ব্যাকটেরিয়া জন্মাবে ও দুর্গন্ধ তৈরি করবে।
পা স্ক্রাব করার জন্য দুই টেবিল চামচ মধু, দুই টেবিল চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনেগার ও এক স্লাইস লেবুর রস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে পা পনের মিনিতের জন্য ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর পিউমিক স্টোন দিয়ে পায়ের সবদিক ঘষে মরা চামড়া ও ময়লা তুলে নিতে হবে। সবশেষে পা ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ম্যাসাজ করে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: পায়ের গোড়ালি ফাটা নিয়ে চিন্তিত?