কর্মব্যস্ত জীবনে দম ফেলবার ফুসরত কই? তার ওপর আবার শরীরচর্চা। কিন্তু বসে কাজ করার ফলে শরীর ক্রমশ ভারী হয়ে যাচ্ছে। তবে যদি কষ্ট না করেই ওজন কমানো যায়, এর চেয়ে ভাল কিছু তো আর হতে পারে না। পুষ্টিবিদরা বলছেন, জিমে না গিয়েও ওজন ঝরানো সম্ভব। তবে তার জন্য বিশেষ কয়েকটি কাজ নিয়মিত করতে হবে।
গরম পানিতে গোসল করা
৩০ মিনিট শরীরচর্চা করলে যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ে, তা শুধু গরম পানিতে গোসল করেই পাওয়া যায়। শরীরচর্চা করার সময়ে শরীরে যে পরিমাণ তাপ উৎপন্ন হয়, গরম পানিতে গোসল করলেও তা পাওয়া সম্ভব। শরীরের ভিতরে উৎপন্ন এই তাপই দেহের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারে।
লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করা
অফিস থেকে বেরোনোর তাড়া থাকলেও লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। নিয়মিত সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা অভ্যাস করতে পারলে ভারী কোনও ব্যায়াম ছাড়াই দেহের নিম্নাংশের মেদ ঝরিয়ে ফেলতে পারেন।
রোদে বসা
দেহের বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেলতে ভিটামিন ডি অণুঘটকের মতো কাজ করে। এ ছাড়াও ক্যালশিয়াম শোষণ করে হাড় মজবুত রাখতে সহায়তা করে। তাই ভিটামিন প্রতিদিন অন্তত পক্ষে মিনিট পনেরো রোদে বসা অভ্যাস করতে হবে।
স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া
ওজন ঝরাতে সব সময়ে ডায়েট করা জরুরি নয়। স্বাস্থ্যকর, সুষম খাবার খেয়েও কিন্তু মেদ ঝরানো যায়। তাই কার্বজাতীয় খাবার কম খেয়ে প্রতি দিন ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।
পর্যাপ্ত ঘুম
পেটে মেদ জমার প্রধান কারণ অপর্যাপ্ত এবং অনিয়মিত ঘুমের অভ্যাস। যার প্রভাবে বিপাকহার বিঘ্নিত হয়। বিপাকহারের মাত্রা ভাল না হলে ওজন ঝরানো কিন্তু সম্ভব নয়।
দাঁড়িয়ে থাকা
বসে বা শুয়ে থাকলে খাবার হজম করতে সমস্যা হতে পারে। আর হজমের সমস্যা থাকলে বিপাক হারের উপর তার প্রভাব পড়বেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খাবার তাড়াতাড়ি হজম করতে চাইলে বেশ কিছুক্ষণ সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করুন। তাতে যেমন খাবার হজম হবে, তেমনই দেহের বাড়তি মেদও ঝরবে।
ঘর পরিষ্কার করা
জীবন এখন অনেক বেশি যন্ত্রনির্ভর। কোনও কাজ করতেই খুব বেশি গা ঘামাতে হয় না। ঘরের ছোটখাটো কাজগুলো করতেও অনেকে যন্ত্রের উপর ভরসা করেন। কিন্তু গবেষণা বলছে, ঘরমোছা, কাপড় কাচা বা শীলে মশলা বাটার মতো কাজগুলো নিয়মিত করলে শরীরচর্চা না করেই ওজন ঝরানো যাবে সহজে।