প্রসাধনী আবিষ্কারের আগে মুখে কোনো সমস্যা হলে কাঁচা হলুদ বাটা মাখার চল ছিল। পাশাপাশি, কাঁচা হলুদ বাটা মেখে হালকা রঙের পোশাক নষ্ট হওয়ার সমস্যাও ছিল। আবার অনেকেরই হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন যৌগটি থেকে অ্যালার্জি হয়। স্পর্শকাতর ত্বকে কাঁচা হলুদ বাটা মাখলে মুখ জ্বালা করে অনেকের। তাই রূপচর্চায় প্রাকৃতিক বা ভেষজ জিনিসের ওপর ভরসা করেন যারা, তারা বলছেন, কাঁচা হলুদ বাটার বদলে তার নির্যাস থেকে তৈরি তেল কিন্তু এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। শুধু তাই নয়, এই নির্যাস থেকে তৈরি তেলে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগগুলি সক্রিয় অবস্থায় থাকে। যা ত্বকের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী।
সংক্রমণজনিত সমস্যায় হলুদ কী ভাবে উপকারে করে?
>> শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে হলুদের নির্যাস থেকে তৈরি তেল।
>> ঠান্ডা লাগা, জ্বর, অ্যালার্জি কমাতেও হলুদের নির্যাস থেকে তৈরি তেল ব্যবহার করা যায়।
>> আবহাওয়া বদলের সময় শ্বাসকষ্টের সমস্যা হলে তাতেও আরাম মিলতে পারে হলুদের তেল ব্যবহার করলে।
ত্বকের কোন কোন উপকারে লাগে হলুদের নির্যাস?
>> হলুদের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগগুলি ছোটখাটো কাটাছেঁড়ায়, পোড়ায়, পোকামাকড় কামড়ালে তৎক্ষণাৎ আরাম দেয়।
>> বয়সজনিত সমস্যা, যেমন বলিরেখা, মেচেতার দাগ-ছোপ, চামড়া কুঁচকে যাওয়ার মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে হলুদ।
>> ধুলো-ময়লা জমা ত্বকের ওপর থেকে মৃত কোষ সরিয়ে ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে হলুদ।