তবে বিভিন্ন ধরণের সহজলভ্য পণ্যের ভিড়ে উপকারী প্রকৃতিক এই উপাদানটির ব্যবহার ভুলতে বসেছে সকলে। কেমিক্যালযুক্ত অন্যান্য যেকোন পণ্যের চাইতে হাজারো গুণ উপকারিতা বহন করে এসেনশিয়াম ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ মসুরের ডাল।
ত্বকের যত্নে মসুরের ডালের ব্যবহার খুব একটা ঝামেলাপূর্ণ নয়। কিছুটা বাড়তি সময় প্রয়োজন হলেও, ত্বকের সুস্থতা ও সৌন্দর্য ধরে রাখতে চাইলে ব্যবহার করতে হবে চমৎকার এই উপাদনটি।
দ্রুততম সময়ের মাঝে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে মসুরের ডাল ব্যবহার হতে পারে সবচেয়ে ভালো উপায়। ব্যবহারের জন্য ৫০ গ্রাম মুসুর ডাল সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে ছেঁকে নিয়ে ডাল বেটে নিতে হবে। ডাল বাটার সঙ্গে ১ চা চামচ দুধ ও পরিমাণ মতো বাদামের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি ভালভাবে সম্পূর্ণ মুখে ম্যাসাজ করে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিয়ে হবে। এই নিয়মে সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার মসুরের ডাল ব্যবহার করতে হবে।
আবহাওয়াজনিত সমস্যা তো রয়েছেই, সেই সঙ্গে পরিবেশ দূষণের সম্পূর্ণ নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেয় ত্বকের উপর। বাইরে সারাদিনের কাজ শেষ মসুর ডাল হতে পারে ত্বক পরিষ্কারের ফেসওয়াশ। মসুরের ডাল ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি ত্বকের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমিয়ে দেয়। এক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য এক চা চামচ মসুর ডালের পাউডারের সঙ্গে ২ চা চামচ দুধ, এক চিমটি পরিমাণে হলুদ ও ৩ ফোঁটা নারিকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তৈরিকৃত মিশ্রনটি মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসেজ করে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষা করতে হবে। এরপর স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।
প্রয়োজনের চাইতে ত্বকের শুষ্কভাব বেশি হলেই, অল্প বয়স থেকেই ত্বকে বলিরেখা দেখা দেওয়া শুরু হয়। অতিরিক্ত শুষ্কতার জন্য ত্বক কুঁচকে যায় এবং ত্বকে বয়সের ছাপ চলে আসে। ত্বকের শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ব্যবহার করতে হবে মসুরের ডাল ও মধুর মিশ্রণ। ১ চা চামচ মসুর ডালের পাউডারের সঙ্গে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রনটি মুখে ম্যাসাজ করতে হবে। ১৫ মিনিট অপেক্ষার পর মিশ্রণটি শুকিয়ে আসলে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ত্বকের সুস্থতা তুলসি পাতায়
আরও পড়ুন: ত্বক পরিষ্কারে মধু ব্যবহার উপকারী কি?