কিন্তু হরমোনাল সমস্যা, অযত্ন ও পরিবেশ দূষণের ফলে অল্প বয়সেই চুল পেকে যাওয়ার মতো বিব্রতকর সমস্যাটির মুখোমুখি হতে হয় অনেককে।
চুল রঙ করে কিংবা কলপ ব্যবহার করে খুব বেশিদিনের জন্য এই সমস্যাটিকে ঢেকে রাখা সম্ভব হয় না। অকালে পেকে যাওয়া চুলের সমস্যাটিকে দূর করতে চুলের যথাযথ যত্ন ও সঠিক উপাদান ব্যবহার করা প্রয়োজন।
মাসের পর মাস চুলে তেল ব্যবহার না করলে স্বাভাবিকভাবেই চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যাবে এবং চুলের সঠিক পুষ্টির অভাবে পেকে যাওয়ার সমস্যাট দেখা দিবে। চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা ইতোমধ্যে দেখা দিলে এবং এই সমস্যাটি কমাতে চাইলে সমপরিমাণ আমন্ড অয়েল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে প্রতি সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন ব্যবহার করতে হবে।
চুলের যেকোন সমস্যায় ত্রাতা হিসেবে আমলকি অনন্য। চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা রোধে ৪-৫টি বড় আকারের আমলকি ছেঁচে এর সঙ্গে এক চা চামচ নারিকেল তেল মেশাতে হবে। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ও সম্পূর্ণ চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। ২০-২৫ মিনিট রেখে দেওয়ার পর শুধু পানিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
তিনটি চমৎকার প্রাকৃতিক উপাদানের মিশ্রণ শুধু চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা নয়, চুল পড়া রোধেও কাজ করবে। এই মিশ্রণটি তৈরিতে ৪ টেবিল চামচ আমন্ড অয়েল, ১ টেবিল চামচ আমলার রস ও ১ চা চামচ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে নিতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয় কোন বোতলে সবগুলো উপাদান একসাথে ঝাঁকিয়ে নিতে পারলে। তৈরিকৃত মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করে ৪৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর সাধারণ পানিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
উভয় উপাদানই চুলের জন্য আলাদাভাবে উপকারিতা বহন করে। সেক্ষেত্রে চুলের অকালপক্কের সমস্যা রোধে ও সমস্যাটি কমাতে মেহেদী পাতা গুঁড়া ও মেথি গুঁড়ার মিশ্রণ চমৎকার কার্যকরি। ২ টেবিল চামচ মেহেদী পাতা গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ দই, ১ টেবিল চামচ কফি পাউডার ও ২ টেবিল চামচ পুদিনা পাতার রস একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সম্পূর্ণ চুলে মিশ্রণটি ম্যাসাজ করে হেয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল মুড়িয়ে রাখতে হবে অন্তত দুই ঘন্টা। এরপর চুল অ্যালোভেরা শ্যাম্পুর সাহায্যে ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি অ্যালোভেরা শ্যাম্পু না থাকে তবে শুধু পানিতে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
চুলের যে কোন সমস্যা রোধে যত্ন প্রয়োজন সবার আগে। তবে শরীরে যদি পুষ্টির ঘাটতি থাকে তবে বাহ্যিক যত্নেও খুব একটা উপকার পাওয়া যাবে না। চুল পেকে যাওয়ার সমস্যাটিকে দূরে রাখতে ভিটামিন-বি১২ সমৃদ্ধ সবজি ও ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। কারণ চুলের গঠনে ও কালো রঙের জন্য ভিটামিন-বি১২ অন্যতম প্রধান একটি উপাদান।
আরও পড়ুন: চুলের যত্নে চাই মুলতানি মাটি
আরও পড়ুন: চুলের সমস্যা যখন আবহাওয়াজনিত!