ক্লাস, অফিস, ঘরোয়া কিংবা জমকালো কোন অনুষ্ঠানে নিজেকে একটু গুছিয়ে উপস্থাপন করতে চাইলে স্বাভাবিকভাবেই সাজের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।
কিন্তু নানাবিধ মেকআপ পণ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার দরুন বিভিন্ন ধরণের সমস্যাও দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে কি করা প্রয়োজন সেটাই এখানে তুলে ধরা হলো।
ত্বকের সহজাত উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে এবং ত্বকের ভেতর থেকে ময়লা ভালোভাবে বের করে আনতে পিল মাস্কের ব্যবহার সবচেয়ে উপকারী। যাদের স্পর্শকাতর ত্বক ও অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য পিলিং মাস্ক ব্যবহার সবচেয়ে নিরাপদ। এক্ষেত্রে চারকোল পিলিং মাস্ক কিংবা ফ্রুটস পিলিং মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যে মাস্কই হোক না কেন, প্রথমে একবারের জন্য ব্যবহার করে দেখতে হবে ত্বকের সাথে মানাচ্ছে কিনা।
অন্যান্য সময়ে দিনের মাঝে একবার ত্বক ক্লিনজিং করলেই ত্বকের সুস্বাস্থ্যের জন্য যথেষ্ট। কিন্তু ভারি মেকআপ ব্যবহারের সময়ে ক্লিনজিং করতে হবে দিনের মাঝে দুইবার। মেকআপ, বাইরের ধুলা-ময়লা ও দূষিত পদার্থ দূর করতে ব্যবহার করতে হবে কুসুম গরম পানি। ক্লিনজিং এর জন্য একদম নরম ও পরিষ্কার কাপড় কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে, সেই কাপড়টি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে।
এছাড়াও ব্যবহার করা যেতে পারে ক্লিনজিং অয়েল। এতে ত্বক তার প্রয়োজনীয় আর্দ্রতা পাবার পাশাপাশি নরমও থাকবে। তেলের সাহায্যে মুখের ত্বকের রোমকূপের ভেতরে থাকা দূষিত পদার্থ পরিষ্কার হবে আরও সহজে। সেক্ষেত্রে ত্বকের ধরণ বুঝে ক্লিনজিং অয়েল কিনতে হবে।
ভারি মেকআপ ও ঘনঘন মেকআপ করার ফলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। ত্বক যত বেশি শুষ্ক হবে, তত বেশি ত্বকের ক্ষতি হবে এবং ত্বকে বলিরেখার প্রাদুর্ভাব দেখা দিবে। ত্বকের শুষ্কতার ফলে হুব সহজেই ত্বকে ধুলাবালি ও টক্সিন পদার্থ জমা হতে থাকে। সে কারণেই ত্বকে প্রতিদিন দুইবেলা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে করে ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা পাবে এবং শুষ্কভাব তৈরি হবে না। তবে মনে রাখতে হবে, ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করার পরেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নইলে মুখের ত্বকে সহজেই ময়লা আটকে যাবে।
কোন অনুষ্ঠান আয়োজনে একেবারেই কোন ধরণের মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার না করলে ভালো দেখায় না। তাই মেকআপ করতে হলেও, একেবারেই সীমিত মেকআপ করুন এবং মেকআপ সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অনুষ্ঠান যদি খুব জমকালো না হয়, তবে মেকআপের মাত্রা ফেলতে হবে একেবারেই। ঘরোয়া অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে কাজল, লিপস্টিক ও হালকা কনসিলার ব্যবহারের মাঝেই মেকআপ সীমাবদ্ধ রাখার চেষ্টা করুন। এতে করে চেহারা একেবারে নিষ্প্রাণ দেখাবে না এবং ত্বকেরও তেমন একটা ক্ষতি হবে না।
আরও পড়ুন: সুস্থ থাকবে স্পর্শকাতর ত্বক