বিভিন্ন গবেষণা ও পরীক্ষা থেকে দেখা গেছে, পরিচিত এই বাদাম স্বাস্থ্যে নানাবিধ উপকারিতা বহন করে। বিশেষত আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে কাঠবাদামের ব্যবহার ও পরিচিত অনেক বেশি।
পর্যাপ্ত পরিমাণ আঁশসমৃদ্ধ এই বাদাম থেকে পাওয়া যায় দ্রবণীয় শর্করা, প্রোটিন, ফ্যাট, ভিটামিন-ই, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাংগানিজ। এছাড়া কাঠবাদাম থেকে পাওয়া যাবে উচ্চমাত্রার ফাইটিক অ্যাসিড (Phytic Acid), যা এক প্রকারের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।
এই জিজ্ঞাসাটি সবার, খোসাসহ নাকি খোসাবিহীন- কোন কাঠবাদাম থেকে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে! এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
কেনার সময় সম্পূর্ণ অর্গানিক কাঠবাদাম কেনাই শ্রেয়। এতে করে বাদাম থেকে পরিপূর্ণ উপকারিতা পাওয়া যাবে। তবে কাঠবাদামের খোসা সহজে পরিপাক হতে চায় না। যে কারণে পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে, প্রথমে কাঠবাদাম ভিজিয়ে এরপর বাদামের খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার জন্য। এতে করে বাদাম সহজেই পরিপাক হয়ে যাবে। কাঠবাদাম পানিতে ভিজিয়ে রাখা সঠিক নিয়মটি হলো- কুসুম গরম পানিতে রাতে ভিজিয়ে পরদিন সকালে পানি ছেঁকে বাদাম খাওয়া।
দৈনিক ১০টি কাঠবাদাম খাওয়া পাকস্থলী ও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। খালি পেটে বাদাম খাওয়ায় কোন সমস্যা নেই। তবে সাথে ফল ও সবজি থাকলে ভালো হয়। এছাড়া বাদাম যেহেতু প্রায় সকল খাবারের সাথেই মানিয়ে যায়, তাই সালাদসহ অন্যান্য খাবারেও বাদাম ব্যবহার করার চেষ্টা করতে হবে।
এছাড়া বাদাম খাওয়ার ক্ষেত্রে ভিজিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়, কারণ এতে খোসা নরম হয়ে সহজে উঠে আসে। কাঠবাদামের খোসায় ট্যানিন জাতীয় পদার্থ থাকে, যা শরীরে পুরোপুরিভাবে বাদামের পুষ্টি শোষণে বাধাদান করে। পাশাপাশি খোসাবিহীন বাদাম গ্রহণে শরীরে পুষ্টি বেশি পায় এবং বাদাম ভালোভাবে পরিপাকও হয়।
তাই সবকিছু মিলিয়ে কাঠবাদাম গ্রহণের ক্ষেত্রে ভিজিয়ে রেখে খোসা ছাড়িয়ে খাওয়াই হবে সবচেয়ে উপাদেয়।
আরও পড়ুন: কেন খাবেন কাঠবাদাম?
আরও পড়ুন: কাঁচা খাওয়া যাবে না যে খাবারগুলো