কখনো বাড়ে আবার কখনো কমে যায় অনেকটা। মূলত মাথার ত্বকের মরা চামড়া থেকেই খুশকির সমস্যাটি তৈরি হয়। এ কারণে মাথার ত্বকে সঠিক উপাদান ব্যবহারে সঠিক পরিচর্যা করা হলে, খুশকির সমস্যাকে অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব হয়।
গ্রিন টি, পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল ও হোয়াইট ভিনেগার- এই তিনটি উপাদান প্রয়োজন হবে একসাথে। প্রথমে গ্রিন টি ফুটিয়ে তার সঙ্গে দু-তিন ফোঁটা পেপারমিন্ট এসেনসিয়াল অয়েল ও এক চা চামচ হোয়াইট ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। চুল ধোয়ার পর এই মিশ্রণটি মাথায় ম্যাসাজ করতে হবে। গ্রিন টি ও এসেনশিয়াল অয়েলের স্ট্রং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট খুশকির প্রাদুর্ভাব কমায়।
নিমের সাথে অন্য কোন উপাদান ব্যবহারের প্রয়োজন নেই, শুধুমাত্র নিম পাতার ব্যবহারই খুশকি দূর করতে কার্যকরি। কারণ নিমে থাকা উপাদান খুশকি তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসে কাজ করে। এতে করে নিয়মিত নিম পাতার ব্যবহার দ্রুত খুশকিমুক্ত করে মাথাকে। ব্যবহারের জন্য নিম পাতা রাতে চার-পাঁচ কাপ গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। সকালবেলা পানি ছেঁকে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে একঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
নারিকেল তেলে থাকা অ্যান্টি-ফাংগাল উপাদান খুশকি তৈরি হওয়া প্রতিরোধ করে। ফলে অলিভ অয়েল কিংবা সরিষার তেল চুলের জন্য উপকারী হলেও, এই তেলের ব্যবহার প্রয়োজন খুশকির সমস্যা দূর করতে। ব্যবহারের জন্য এক টেবিল চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে পাঁচ থেকে দশ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে মাথার তালুতে ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে পুরো রাত রেখে পরদিন শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
বিভিন্ন ধরনের বেকিংয়ে ব্যবহৃত বেকিং সোডা মাথার ত্বকের খুশকি দূর করতেও খুব ভালো কাজ করবে, কারণ এটি বেশ উন্নত মানের অ্যান্টি ফাংগাল উপাদান। ব্যবহারের জন্য স্বাভাবিক ভাবে মাথা ধুয়ে ভেজা মাথায় বেকিং সোডা ম্যাসাজ করতে হবে। মূলত মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে এক-দু'মিনিট রেখে দিয়ে এরপর শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ধুয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ভিটামিন-ই ব্যবহারে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুল
আরও পড়ুন: টি ট্রি অয়েল ব্যবহারে সুরক্ষিত ত্বক